মনপুরায় ডাক্তারের অবহেলায় শিশু মৃত্যুর অভিয়োগ

ভোলার মনপুরায় পুকুরের পানিতে পড়ে যাওয়া এক মেয়ে শিশুকে উদ্ধার করে স্বজনরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। কিন্তু আধা ঘন্টা অতিবাহিত হওয়ার পরও জরুরী বিভাগসহ হাসপাতালের কোথাও ডাক্তার না পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শামীম মিঞাকে ফোন করে শিশুটির স্বজনরা।
পরে আধা ঘন্টা পর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এর আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ নাইম হাসনাত শিশুটিকে মৃত ঘোষনা করলে শিশুটির স্বজনদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
এই সময় শিশুটির স্বজনরা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সামনেই ডাক্তারের অবহেলা ও সময়মত চিকিৎসার অভাবে শিশুটির মৃত্যু হয়েছে বলে দাবী করে।
বৃহস্পতিবার বিকেল ৫ টায় উপজেলার ৫০ শয্যা হাসপাতালে এই ঘটনা ঘটে।
মৃত শিশুটি হলেন, উপজেলার ৩ নং উত্তর সাকুচিয়া ইউনিয়নের চরগোয়ালিয়া গ্রামের বাসিন্দা আলী সিকদারের তিন বছরের মেয়ে হামিদা।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, হাসপাতালে শিশুটির স্বজনরা ডাক্তার নেই বলে ফোন দিলে আমি হাসপাতালে যাই। পরে আবাসিক ডাক্তার নাইম হাসনাত শিশুটিকে মৃত ঘোষনা করে। তখন স্বজনরা উত্তেজিত হয়ে পড়ে। স্বজনরা লিখিত অভিযোগ করলে স্বাস্থ্য কর্মকর্তার সাথে আলাপ করে, তদন্ত কামাট গঠন করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মৃত শিশুটির চাচা আবদুল হাই সিকদার অভিযোগ করে জানান, শিশুটিকে পুকুর থেকে উদ্ধার করে ৪ টা ২০ মিনিটে হাসপাতালে নিয়ে আসি। কিন্তু জরুরী বিভাগ সহ হাসপাতালে খোঁজ করে ডাক্তার না পাওয়ায় ইউএনও স্যারকে ফোন করি। পরে ৪ টা ৫৫ মিনিটে ডাক্তার এসে ভাতিজীকে মৃত ঘোষনা করে। ডাক্তারের অবহেলায় আমার ভাতিজীর মৃত্যু হয়েছে।
এই ব্যাপারে মনপুরা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ তৈয়বুর রহমান অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, শিশুটির স্বজনদের অভিযোগ ভিত্তিহীন। সময়মত ডাক্তার এসেছে। শিশুটি হাসপাতালে নিয়ে আসার পূর্বেই মৃত্যু হয়।
এইচকেআর