পুলিশের কঠোর অবস্থানের পরও বেড়েছে যানবাহন চলাচল


প্রথম দফায় ৭ দিনের কঠোর লকাউনের শেষ দিন আজ মঙ্গলবার। এ দিন সরকার আবারও এক প্রজ্ঞাপনে নতুন করে ৭ দিনের লকডাউন দেয়। কিন্তু ৭ম দিনেও বিভিন্ন রাস্তায় প্রচুর সংখ্যক মানুষ দেখা গেছে। বাজারঘাটগুলোতেও ছিলো মানুষজনের ব্যাপক উপস্থিতি। রিক্সা এবং ব্যক্তিগত যানবাহন চলাচল প্রায় স্বাভাবিক। রাস্তায় বের হওয়া রিক্সাগুলো পুলিশের চ্যালেঞ্জর মুখে পড়ছেন। পুলিশ রিক্সা ধরে কাত করে ফেলে রেখে দিচ্ছে।
রিক্সা চালকরা জানিয়েছেন, ঘরে খাবার না থাকায় পেটের দায়ে রিক্সা নিয়ে রাস্তায় নেমেছেন তারা। রাস্তায় অন্যান্য যানবাহন চলাচল করলেও পুলিশ শুধু রিক্সা চালকদের হেনেস্তা করছে। আগে খাবারের ব্যবস্থা করে লকডাউন দিলে সেটা ফলপ্রসূ হতো বলে দাবি করেন রিক্সা চালকরা।
এদিকে রিক্সা আটকের খবর পেয়ে জেলা বাসদের সদস্য সচিব ডা. মনিষা চক্রবর্তী ট্রাফিক বিভাগের সাথে কথা বলে আটক রিক্সাগুলো ছাড়িয়ে নেন।
এ সময় ডা. মনিষা বলেন, লকডাউনের নামে রিক্সা চালকদের উপর নির্যাতন চলছে। আগে তাদের জন্য ত্রাণের ব্যবস্থা করে তারপর লকডাউন বাস্তবায়নের জন্য অনুরোধ করেন তিনি।
এদিকে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর অবস্থানের পরও নগরীতে রিক্সা এবং ব্যক্তিগত যানবাহন চলাচল বেড়েছে। অনেক এলাকায় চোরাগোপ্তাভাবে অনেক দোকানপাঠ খুলেছে। বাজারঘাটেও আগের চেয়ে বেশি মানুষ দেখা গেছে। উপেক্ষিত হয়েছে স্বাস্থ্যবিধি।
এর মধ্যেও লকডাউন এবং স্বাস্থ্যবিধি কার্যকর করতে নগরীতে পৃথক দুটি ভ্রাম্যমাণ আদালত চালিয়েছে জেলা প্রশাসন।
বিএমপি’র ট্রাফিক বিভাগের পুলিশ সার্জেন্ট শ্রী সঞ্জিব জানান, ৭ম দিনে রাস্তায় যানবাহন এবং মানুষ চলাচল বেড়েছে। তবে তারা রাস্তায় বের হওয়া যানবাহনের কাগজপত্র যাচাই করছেন। কেউ নিয়মের ব্যতয় করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছেন তারা।
এইচকেআর
