পৌরসভার পরিচ্ছন্নতা কর্মীর মেয়ে মেডিকেল কলেজের ছাত্রী

সমাজের কাউকেই ছোট মনে করা ঠিক না। বরগুনা পৌরসভার একজন সামান্য বেতনের একজন পরিচ্ছন্নতা কর্মী। বর্তমানে ছোট একটি চায়ের দোকানের মালিক বসবাস করেন সরকারি জমিতে।কয়েক বছর আগে তার মেয়ে এসএসসিতে জিপিএ ৫ পেয়েছিল। মেয়ের স্বপ্ন ছিল ডাক্তার হবার। কিন্তু পিতার আর্থিক সমস্যা ছিল প্রচণ্ড।
ওই সময় ফেসবুকে একজন স্থানীয় সাংবাদিক রেজাউল ইসলাম টিটুর একটি মানবিক সাহায্যের আবেদন দেখে অনেকেই মেয়েটির পাশে দাড়িয়েছিল। এরপর এইচএসসি পাশ করার পরে মেয়েটি ভর্তি পরীক্ষায় যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের চাঞ্চ পেয়েছিল। কিন্তু মেধাবী মেয়েটি থেমে থাকেনি এই বছর মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়।
মেয়েটির বাবা হারুন মিয়া গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন যারা সেই সময় তার পাশে দাড়িয়ে ছিলেন। বিশেষ কৃতজ্ঞতা জানান তৎকালীন জেলা প্রশাসক ড. মুহা বশিরুল আলম যার কাছে সাংবাদিকের মাধ্যমে মেয়ের বাবাকে নিয়ে যাওয়ার পরে তাৎক্ষণিক বরগুনা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষকে ফোন করে ফ্রি লেখাপড়া সহ আর সকল সহায়তা করেন মেয়েটির জন্য।
মেয়েটিকে সহায়তা করা বরগুনা প্রেসক্লাবের দপ্তর সম্পাদক সাংবাদিক রেজাউল ইসলাম টিটু বলেন আমাদের এই সমাজে অনেক ধনাঢ্য পরিবার আছে যারা শত চেষ্টা করেও ছেলে মেয়েকে সরকারি মেডিকেলে পড়তে পারেনা। অনেক অনেক চেষ্টা তদবির করে মোটা অর্থ দিয়ে বেসরকারী মেডিকেলে কলেজে ভর্তি করায়। যাদের সামনে চেয়ারে বসার সাহসও হয়তো এই মেয়ের বাবা দেখাবে না।
এইচকেআর