ঢাকা শনিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৫

Motobad news
শিরোনাম
  • ২৫ পাটকল চালুসহ বিভিন্ন দাবিতে খুলনায় শ্রমিক সমাবেশ দিল্লি বিস্ফোরণে প্রধান সন্দেহভাজন উমরের বাড়ি গুঁড়িয়ে দিলো ভারত এক হাসিনা যাওয়ার পর আরেক হাসিনা আসার প্রস্তুতি চলছে: পাটওয়ারী বরিশালে শীতের আমেজ, ১০-২০ শতাংশ বৃদ্ধি গরম পোষাকের দাম  বরিশালে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ১২৭ শিশু ভর্তি, একজনের মৃত্যু   দৌলতখানে বিএনপির  কমিটিতে আওয়ামী লীগ কর্মীর নাম , ক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা বানারীপাড়ায় কেরামত আলী খান মৃত্যুর ২ বছর পর পেলেন বীর মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি ভোলায় ২০ মিনিট অবরুদ্ধ তিন উপদেষ্টা বরগুনায় গভীর রাতে বাসে অগ্নিসংযোগ, গ্রেফতার ৫ একই দিনে গণভোট ও নির্বাচন ঘোষণায় জাতি হতাশ: চরমোনাই পীর
  • ২ কোটি ১৮ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মাণ, ৪ মাসেই বিদ্যালয় ভবনে ফাটল!

    ২ কোটি ১৮ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মাণ, ৪ মাসেই বিদ্যালয় ভবনে ফাটল!
    গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

    ২ কোটি ১৮ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে আবু ইউসুফ আলী মোল্লা বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভবন উদ্বোধনের চার মাসের মধ্যেই ফাটল দেখা দিয়েছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান দায়সারাভাবে বিদ্যালয় ভবনের কাজ করেছে এমন অভিযোগ একাধিক শিক্ষক-শিক্ষার্থীর ও অভিভাবকের। ফলে শ্রেণিকক্ষে গিয়ে আতঙ্কে রয়েছে শিক্ষার্থীরা।

    জানা গেছে, উপকূলীয় জনপদ সাগরকন্যা নামে খ্যাত পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জের ১ নম্বর মাধবখালী ইউনিয়নে ১৯৯৯ সালে আবু ইউসুফ আলী মোল্লা বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। গত ২০১৮-২০১৯ অর্থ বছরে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে এ বিদ্যালয়ে দ্বিতল বহুমুখী ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় ভবন নির্মাণে ২ কোটি ১৮ লাখ ৪৭ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। বরগুনার বেতাগীর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স খান এন্টারপ্রাইজ’ এর স্বত্ত্বাধিকারী মো. খলিলুর রহমানকে নির্মাণ কাজের দরপত্রের প্রাক্কলন অনুযায়ী দায়িত্ব দেওয়া হয়। এরপর ঠিকাদার খলিলুর রহমান এ কাজের দায়িত্ব দেন তাঁর সহযোগী মো. মামুনকে। তিনি এ বছরের জানুয়ারি মাসে ভবনের নির্মাণ কাজ শেষ করেন।

    গত ২৩ মে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভবনটি উদ্বোধন করেন। করোনার সংক্রমণের কারণে বিদ্যালয় ভবন বন্ধ থাকলেও গত ১২ সেপ্টেম্বর থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে এ ভবনে শ্রেণিকক্ষের পাঠদান কার্যক্রম চালানো হয়। ওই বিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষক জানান, উদ্বোধনের কিছুদিন পর ভবনের বিভিন্ন স্থানে ফাটল দেখা দেয়।

    সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, বৃষ্টি হলেই ভবনে ছাদ থেকে চুইয়ে পানি পড়ে। সিঁড়ি ও দেয়ালের পলেস্তারা খসে পড়েছে। প্রধান শিক্ষকের কক্ষ, করিডোর ও দেয়ালের পলেস্তার খসে পড়েছে। এতে শিক্ষক, শিক্ষার্থীদের অভিভাবকের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

    বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মোতাহের উদ্দিন গাজী বলেন, ‘বিদ্যালয়ে ফাটল দেখা দিলে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে বিষয়টি অবহিত করি।’ প্রধান শিক্ষকের সাথে কথা বলার একপর্যায়ে বিদ্যালয়ের কয়েকজন সহকারী শিক্ষক বলেন, সরকার দলীয় ঠিকাদার। তাই নাম সর্বস্ব কাজ করছে।

    মো. খলিলুর রহমান বলেন, ‘আমার লাইসেন্স নিয়ে এক ব্যক্তি কাজ করেছে। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা এ ব্যাপারে আমার সাথে আলাপ করেছে। আমি এর বেশি কিছু জানি না।’ মো. মামুন বলেন, ‘বিদ্যালয়ের যেসব স্থানে ফাটল দেখা দিয়েছে সেসব স্থানে আমি দ্রুত মেরামতের ব্যবস্থা করবো।’

    উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, বিদ্যালয়ের ভবনে যে ফাটল দেখা দিয়েছে, তাতে ভয়ের কিছু নেই। নির্মাণের সময় ভালো কিউরিং না হওয়ায় এ ধরনের ফাটল দেখা দিতে পারে। আমি সরেজমিনে পরিদর্শন করে ঊর্ধ্বতন কৃর্তপক্ষকে  অবহিত করবো।

     


    এইচকেআর
    গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

    সর্বশেষ