আমতলীতে প্রচণ্ড গরমে জনজীবন অতিষ্ঠ


বরগুনার আমতলী উপজেলায় সকাল থেকেই ঠা ঠা রোদে শুরু হচ্ছে দিন। প্রতিদিন একটু একটু করে বাড়ছে সূর্যের তাপ। প্রচন্ড গরমে বেলা বাড়তেই পথে-ঘাটে কমে যাচ্ছে মানুষের সংখ্যা। তাপপ্রবাহের কারণে ঘেমে নেয়ে অতিষ্ঠ ও দিশেহারা মানুষ।
কাজের সূত্রে সারা দিনের জন্য যাদের রাস্তায় থাকতে হচ্ছে, তাদের অবস্থা তো আরো করুণ। আমতলীতে সারা দিন রোদের তীব্রতা এতটাই বেশি যে, মানুষজন অতিষ্ঠ হয়ে হাঁসফাঁস করছেন। দিন ভর রোদের প্রভাবে রাতেও বয়ে যাচ্ছে তীব্র তাপদাহ। সাথে বিদ্যুৎ চলে গেলে অবস্থা হয়ে দাঁড়ায় নাভিশ্বাস।
দেখা নেই তেমন বাতাস ও ঝড়-বৃষ্টিরও। এতে বিভিন্ন শ্রেণির মানুষের ভোগ করতে হচ্ছে প্রচন্ড রকম কষ্ট ও যন্ত্রণা। একটুখানি বৃষ্টির জন্য হাহাকার করছেন সাধারণ মানুষ। মাঝেমধ্যে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হলেও কিছুক্ষণ পর তা মিলিয়ে যাচ্ছে।
তারপরও কিছুটা প্রশান্তির জন্য মানুষ ছুটছেন বিভিন্ন গাছের ছায়া কিংবা শীতল কোনো স্থানে। গরমের তীব্রতা সহ্য করতে না পেরে শিশুরা পুকুর কিংবা নদীর পানিতে সময় পার করছে। অতিরিক্ত এই গরমে আমতলীর জনজীবন যেন সহ্যের বাইরে।
অসম্ভব রকম তাপমাত্রার কারণে জ্বর, সর্দি, পানি শূন্যতা সহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন মানুষ। এতে হাসপাতালেও ভর্তি হচ্ছেন অনেকে। বৃষ্টির দেখা না থাকায় তীব্র গরমে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই বাড়ছে পুকুর, খাল, বিল ও বাসাবাড়ির পানির তাপমাত্রাও। পানি গরম হওয়ার কারণে স্থানীয় সাধারণ মানুষের আরাম ও শান্তিদায়ক গোসল করাও অনেকটা অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায় যে, আমতলীসহ পুরো অঞ্চলেই এখন অনেক বেশি তাপদাহ বিরাজ করছে। তাই এই প্রচন্ড রকম তাপ ও গরম থেকে বাঁচার জন্য প্রচুর বৃষ্টিপাত হওয়া প্রয়োজন।
আর আমতলী উপজেলার সাধারণ মানুষও অতিষ্ঠ রকম এই গরম থেকে বাঁচার জন্য তাকিয়ে আছেন আসমানের পানে। কখন সেই কাক্সিক্ষত বৃষ্টি শুরু হয়ে অসহ্য ও দিশেহারা রকম এই গরম থেকে তাদের নিস্তার দেয়।
কে আর
