বরগুনায় স্ত্রী হত্যায় স্বামীর যাবজ্জীবন কারাদন্ড


বরগুনায় যৌতুক না পেয়ে স্ত্রী হত্যার অভিযোগে স্বামীকে সশ্রম যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও দুই লাখ টাকা অর্থদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন বরগুনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল।
সোমবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. হাফিজুর রহমান এ রায় দিয়েছেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হচ্ছে তালতলী উপজেলার বড় আমখোলা গ্রামের মোতাহার গাজীর ছেলে মোস্তফা গাজী। রায় ঘোষণার সময় আসামি পলাতক ছিলেন।
বরগুনা সদর উপজেলার জাকিরতবক গ্রামের মোতাহার বিশ্বাস তালতলী থানায় ২০১৬ সালের ৭ সেপ্টেম্বর দণ্ডপ্রাপ্ত আসামির বিরুদ্ধে মামলাটি করেছিলেন। মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয় তার মেয়ে মোর্শেদা বেগমের সঙ্গে মোস্তফা গাজীর ৯ বছর পূর্বে বিয়ে হয়েছিলো। বিয়ের পর থেকেই মোস্তফা গাজী ২ লাখ টাকা যৌতুকের দাবিতে মোর্শেদাকে নির্যাতন শুরু করে। সর্বশেষ ২০১৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর রাত ১০টা হতে ভোর ৫টার মধ্যে মোর্শেদার বুকে মুখে আঘাত করে। পরে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস লাগিয়ে হত্যা করে।
মামলার বাদী মোতাহার বিশ্বাস বলেন, তার কন্যা মৃত্যুর আগে বরগুনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে যৌতুক দাবির মামলা করেছিলো। সেই মামলায় আপোষের শর্তে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি জামিনে গিয়ে আবার তার মেয়ের কাছে দুই লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে ফাঁস লাগিয়ে ঘুমন্ত অবস্থায় হত্যা করে। পরে মোস্তফা গাজী তার মেয়ের লাশ ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যা বলে প্রচার করে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মনিরুজ্জামান তদন্ত করে ২০১৭ সালের ৪ মার্চ আসামি মোস্তফা গাজীর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের বিশেষ পিপি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এই হত্যাকাণ্ডটি অন্যান্য হত্যাকাণ্ডের মতো নয়। একবার যৌতুক চেয়ে নির্যাতন করেছে। আপোষে জামিনে গিয়ে ঘুমন্ত অবস্থায় মারধর করে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঠাণ্ডা মাখায় মোর্শেদাকে হত্যা করা হয়েছে। তারমতে বাদী ন্যায়বিচার পেয়েছে।
এইচকেআর
