আমতলীতে হত্যা মামলার বাদী ও তার পরিবারকে প্রাণ নাশের হুমকি


বরগুনার আমতলীতে হত্যা মামলার আসামী জামিনে বের হয়ে মামলার বাদী ও তার পরিবারের সদস্যদেরকে প্রাণ নাশের হুমকির অভিযোগে আমতলী সাংবাদিক ক্লাবে মঙ্গলবার বিকালে সংবাদ সম্মেলন করেছেন মামলার বাদী আব্দুল আলিম রুবেল।
তিনি লিখিত বক্তব্যে বলেন, গত ১৬ সেপ্টেম্বর সকাল ৯টায় উপজেলার সেকান্দারখালী গ্রামে জমিজমা নিয়ে পূর্ব বিরোধকে কেন্দ্র করে একই গ্রামের আলানুর মুন্সী ওরফে আলমগীর মুন্সী ((৪০) সাগর মুন্সী (২০) আলেয়া (৬৫) মোসা: খালেদা বেগম (২৮) জরিনা (৩৮) আসমা বেগম (৪০) খলিল সিকদার (৪৫) পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে আমাদের ঘরের মধ্যে ঢুকে আমার পিতা মো. নুরুল ইসলাম মুন্সীকে হত্যা চাকুদিয়ে হত্যা করে চলে যায়।
এ ঘটনায় আমার পিতা হত্যার বিচার চেয়ে ১৬ সেপ্টম্বর আসামীদের বিরুদ্ধে আমতলী থানায় চলতি বছরের ১৬ সেপ্টম্বর মামলা দায়ের করি যার নং ১৪ তারিখ । পুলিশ ঐ দিনই মামলার আসামী আলানুর মুন্সী ওরফে আলমগীর মুন্সী ((৪০) আলেয়া (৬৫) মোসা: খালেদা বেগম (২৮) আসমা বেগম (৪০) কে গ্রেফতার করে আমতলী কোর্টের মাধ্যমে বরগুনা জেল হাজতে প্রেরণ করেন। গত ২৪ অক্টোবার মামলার আসামী আসমা বেগম(৪০) আদালতের মাধ্যমে জামিনে বেরিয়ে এসে মামলার পলাতক আসামীদের যোগসাজসে আমাকে মামলার প্রত্যাহার করার জন্য বিভিন্ন ভাবে চাপ প্রয়োগ করছেন। মামলা প্রত্যাহার না করলে আমার ছোট বোন , ভাই ও মাকে চিরতরে দুনিয়া থেকে বিদায় করে দিবেন বলে বিভিন্ন ভাবে হুমকি প্রদান করতেছেন। এমন কি আমাদের বাড়ী ঘর পুড়িয়ে দেওয়ার জন্য হুমকি প্রদান করছেন । মামলার আসামীদের অব্যাহত হুমকিতে আমি আমার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, মামলার বাদী নিহত নুরুল ইসলাম মুন্সীর ছেলে আব্দুল আলীম রুবেল, নিহতের বোন, মিনারা বেগম. পারুল বেগম,বিলকিছ বেগম, চাচা মাইনুদ্দিন, ভগ্নিপতি আনোয়ার হোসেন, ভাই হাসান মুন্সী, ও ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো.রেজাউল করিম প্রমূখ।
এ ব্যাপারে আসমা বেগমের বক্তব্যে জানার জন্য একাধিকবার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
আমতলী থানার অফিসার ইনচার্জ মো. শাহ আলম হাওলাদার বলেন, এ ঘটনায় কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এইচকেআর
