আমতলীতে এক সপ্তাহে কয়েক দফায় নিত্যপন্যর দাম বৃদ্ধি


বরগুনার আমতলীতে এক সপ্তাহে কয়েক দফায় দাম বৃদ্ধি পেয়েছে সয়াবিন তেল, আটা, ময়দা, চিনিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের। কাঁচা বাজারে দু’এক প্রকার সবজির দাম কমলেও বেশীর ভাগ সবজি বিক্রি হচ্ছে উচ্চ মূল্যে। মাছের দাম আকাশ ছোঁয়া। ফার্মের মুরগীর ডিমের দাম হালিতে কমেছে দু’ টাকা।
বুধবার আমতলীর নুতন বাজার ,পুরান বাজার, বটতলা এ,কে স্কুল বাজারসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে জানা গেছে, সয়াবিন তেল প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন গত সপ্তাহে ছিল ১০০ টাকা এখন ১১০টাকা ও বোতলজাতছিল ১০৫-১১৫ তা এখন ১১০-১২৫ টাকা , মশুর ডাল ছিল ৮০- ৯০ এখন ১০০-১২২ টাকা, খেশারী ডাল ছিল ৪০ টাকা তা এখন ৬৮টাকা , মুগ ডাল ছিল ১২০ টাকা এখন ১৩০ টাকা , মরিচ গুড়া খোলা ছিল ১৫০ এখন ১৭০টাকা ও প্যাকেটজাত ছিল ২৫০ টাকা বর্তমানে ২৬০ , হলুদ গুড়া খোলা ছিল ৩২০ ও প্যাকেটজাত ৪৮০ টাকা এখন ৩৪০-৫০০টাকা , চিনি খোলা ৫৪ টাকা ও প্যাকেটজাত ৫৯ টাকা, আদা ছিল ২০০ টাকা এখন ২২০ টাকা , রসুন ছিল ১৩০ টাকা এখন ১৪০ টাকা , আটা ৩৮ টাকা ও ময়দা ৪৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে শীতের সবজি বাজারে আসা শুরু হলেও দাম অনেক বেশী। ব্যবসায়ী মো. নুর আলম জানান, কয়েকদিন পর আমদানি বাড়লে দাম কমতে পারে। বর্তমানে বাজারে পটল ৫০ টাকা, মূলা ৬০ টাকা, ফুলকপি ৫০ টাকা, করলা ৫০ টাকা, বেগুন ৬০ টাকা, সিম ৫০ টাকা, কুমড়া ৩০ টাকা, বরবটি ৪০ টাকা, পেঁপে ৫০ টাকা, গাজর ৫০ টাকা, প্রতি কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
মাছ বাজারে ইলিশ মাছ ৩২০-১২০০ টাকা রুই ২৫০ টাকা, কাতলা ২৫০-৩০০ টাকা, সিলভার কাপ ১৫০ টাকা থেকে ১৬০ টাকা, তেলাপিয়া ১শ’ ৫০টাকা থেকে ১৮০ টাকা, পাঙ্গাশ (চাষের) ১২০ টাকা থেকে ১৫০ টাকা, কৈ মাছ (চাষের) ২০০ টাকা থেকে ২২০ টাকা, দেশী কৈ ৩০০ টাকা থেকে ৫শ’।
এছাড়া মাংসের বাজারে গরুর মাংস ৫০০ টাকা, খাশির মাংস ৬৫০ টাকা , দেশী মুরগী ৩৮০ টাকা, সোনালী মুরগী ২শ’২০ টাকা, ব্রয়লার মুরগী ১৫০ টাকা প্রতি কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আমতলী নুতন বাজারে বাজার করতে আসা ক্রেতা মো.নাসির মিয়া বলেন নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যর দাম যে ভাবে চড়া তা সাধারন মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে।
এইচকেআর
