বরগুনায় টিকা নিতে শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ, অসুস্থ ১৩


একদিনে প্রায় চারহাজার শিক্ষার্থীদের টিকা দেয়ার কারনে বরগুনা জিলা স্কুল অস্থায়ী টিকাদান কেন্দ্রে চরম ভোগান্তির সৃষ্টি হয়েছে। শনিবার সকাল থেকে লম্বা লাইনে দারিয়ে থেকে টিকা নিয়ে অসুস্থ হয় ১৩ জন। তাদের কয়েকজনকে এম্বুলেন্সে সদর হাসপাতালে নিতে দেখা গেছে। প্রয়োজনে রাত দশটা পর্যন্ত টিকা দেয়া চলবে বলে স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, বরগুনা জেলার উপজেলা সমূহের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের টিকা দেয়ার জন্য জড়ো করা হয় বরগুনা জিলা স্কুল মাঠে। হাজার হাজার ছাত্র-ছাত্রী সেই সাথে অভিভাবকের দীর্ঘশ্বাস ছোটাছুটি। মনে হয় কেয়ামত। বিভিন্ন উপজেলা থেকে শিক্ষক অভিভাবকরা লঞ্চ,বাস অন্যান্য বাহন রিজার্ভ করে প্রিয় সন্তানদের নিয়ে এসেছেন। শুক্রবার ও শনিবার বেশ কিছু ছাত্র-ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পরে । সকাল-সন্ধ্যা অপেক্ষা করেও অনেককে পরের দিন আসতে হয়েছে। বেশকিছু রেড ক্রিসেন্ট ও স্কাউটস সেচ্ছাসেবক আপ্রান চেষ্টা চালিয়ে হাঁপিয়ে উঠছে। কর্মরত স্বাস্থ্য কর্মীদেরদের এক মূহুর্তে অবসর নেই। ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক, অভিভাবক সকলেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তারা বলেন,শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অথবা উপজেলা ভিত্তিক এ আয়োজন করলে সকলেই ভোগান্তি থেকে রক্ষা পেত।
একজন শিক্ষার্থীর মা আসমা সিদ্দিকা জানান দুপুর থেকে আমার ছেলে লাইনে দাঁড়িয়ে সন্ধ্যায় টিকা দিয়ে অসুস্থ হয়েছে।
বরগুনার সিভিল সার্জন মারিয়া হাসান জানান ফাইজার ভ্যাকসিনের মেয়াদ থাকে ৩০ দিন। আগামী ২৯ নভেম্বর মেয়াদ শেষ হবে। প্রথম ধাপে প্রায় ১২ হাজার টিকা দেয়া হবে। এছাড়াও ২ ডিসেম্বর পরীক্ষা শুর হবে তাই পরীক্ষার্থীর যাতে টিকা নেয়ার পাশ্ব প্রতিক্রিয়া দুই একদিনে কাটিয়ে উঠে পরীক্ষা দিতে পারে তাই দ্রুত টিকা দেয়া হচ্ছে।
এইচকেআর
