বাউফলে প্রতিবাদ করায় ইট দিয়ে থেতলে দেওয়া হয়েছে যুবককের শরীর


এক নারীকে উত্ত্যক্ত করার প্রতিবাদ করায় ও ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে পুলিশ নেওয়ার জেরে পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলায় মো. হারুন সিকদার (৩৫) নামে এক যুবককে ইট দিয়ে আঘাত করে শরীরের বিভিন্ন অংশ থেতলে দেওয়া হয়েছে। আহত ব্যক্তিকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। আজ বুধবার উপজেলার তালতলী বাজারে ওই ঘটনা ঘটেছে।
হারুন উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের বাকলা তাতেরকাঠী গ্রামের বাসিন্দা মো. জালাল সিকদারের ছেলে। তিনি ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেলের চালক।
আহত ব্যক্তির স্বজন ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে,বাকলা তাতেরকাঠী গ্রামের বাসিন্দা মো. হানিফ সিকদার (৪০) নামে এক ব্যক্তি একই এলাকার এক নারীকে উত্ত্যক্ত করে আসছিলেন। এর প্রতিবাদ করেন হারুন। এ নিয়ে হানিফের সঙ্গে হারুনের বিরোধ সৃষ্টি হয়। গত মঙ্গলবার রাত নয়টার দিকে হানিফ ওই নারীর বাড়িতে গেলে হারুনের নেতৃত্বে স্থানীয় লোকজন হানিফকে আটক করে এবং হারুন ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে পুলিশকে জানান। পুলিশ গেলে স্থানীয় ইউপি সদস্য দায়িত্ব নিয়ে বিষয়টি মীমাংসা করে দেন। আজ বুধবার সকাল নয়টার দিকে হারুন তালতলী বাজরে গেলে হানিফ ও তাঁর লোকজন নিয়ে হারুনের ওপর হামলা চালায় এবং ইট দিয়ে হারুনের শরীরের বিভিন্ন অংশ থেতলে দেয়। স্থানীয় লোকজন আহত হারুনকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান।
নাজিরপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য মো. ফকরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন,‘মীমাংসিত বিষয় নিয়ে ফের মারধর করা হয়েছে।এটা খুবই দুঃখজনক।’
হানিফ সিকদার মারধর করার সত্যতা স্বীকার করে বলেন,‘একটি মিথ্যে ঘটনাকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার রাতে আমাকে হারুন থাপ্পর মেরেছে। মীমাংসা করলেও থাপ্পরের বিচার হয়নি। এ কারণে আজকে (বুধবার) হারুনকে মেরেছি।’
বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল মামুন বলেন,‘এ বিষয়ে কেউ অভিযোগ করেননি। খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এইচকেআর
