ঢাকা মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫

Motobad news

তজুমদ্দিনে আলুর বাম্পার ফলন

তজুমদ্দিনে আলুর বাম্পার ফলন
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলার প্রত্যান্ত অঞ্চলে এ বছর ব্যাপক হারে আলু চাষ হয়েছে। মাঠ জুড়ে শুধু সবুজ আর সবুজ। আবহাওয়া অনূকূলে থাকায় বিগত বছরের তুলনায় বাম্পার ফলনের আশাবাদীও চাষিরা। আগামী এক থেকে দেড় মাস পরেই উৎপাদিত আলু ঘরে তুলবেন যেকারণে আলুর পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষিরা।

উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা গেছে, আলু চাষ বেশ লাভ জনক হওয়ায় এ উপজেলায় প্রতিবছরের ন্যায় এবারও ব্যাপক আলু চাষ হয়েছে। এখানে সাধারণত বিএডিসি, ডায়মন্ড ও হাইব্রিড এই তিনটি জাতের আলুর চাষ হয়। তবে উচ্চ ফলনের আশায় অধিকাংশ কৃষকেরা ডায়মন্ড ও বিএডিসি জাতের বীজ বেশি রোপণ করেছে। এবছর উপজেলার ৫টি ইউনিয়ন ৩শ ২০ হেক্টর জমিতে আলু চাষ হয়েছে। এতে উৎপাদনের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৮ হাজার ৫শ ৫০ মে.টন।

এদিকে মৌসুমের শুরুতেই বৃষ্টিপাত হওয়ায় অনেক কৃষকের রোপন করা আলুর বীজ নষ্ঠ হয়ে যায়। এছাড়া প্রস্তুত করা জমিতে পানি জমে যাওয়ায় দেরিতে হলেও চাষিরা ক্ষতি পুষিয়ে লাভবান হওয়ার আশায় পুনরায় জমি প্রস্তুত করে মাঠ জুড়ে আলু চাষ করেছেন।

শম্ভুপুর ইউনিয়নের আলু চাষি আবদুল মতিন বলেন, নিজের জমি না থাকায় নগদ টাকায় অন্যের জমি রেখে প্রতি বছর আলুর চাষ করি। গত বছর আলুর চাষ করে প্রায় এক লক্ষ টাকা লাভ করেছি। তাই এবছর ১২০ শতাংশ (৮ কড়া) জমিতে ডায়মন্ড ও বিএডিসি জাতের আলুর চাষ করি। প্রতি কড়া জমিতে সার, বীজ, কীটনাশক ও সেচসহ প্রায় ৮ হাজার টাকা খরচ হবে। রোগবালাই না থাকলে প্রতি কড়া (৮ শতাংশ) জমিতে ৩০ মন করে আলু পাওয়ার আশাবাদী। এতে করে বেশ লাভবান হবো।   

আলু চাষি মজির উদ্দিন ও কবির বলেন, ১৬০ শতাংশ জমিতে মৌসুমের প্রথমে ডায়মন্ড জাতের আলু রোপন করি। বৃষ্টিতে ক্ষেতে পানি জমে সম্পন্ন বীজতলা নষ্ট ব্যাপক ক্ষতি হয়। পরে বিএডিসি বীজ ক্রয় করে একই জমিতে পুনরায় আলু আবাদ করি। আলু গাছ অনেকটা রোগমুক্ত। আবহাওয়া অনূকূলে থাকলে এবং রোগ বলাই আক্রমন না করলে আশা করি ক্ষতি পুষিয়ে লাভবান হওয়া যাবে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা অপূর্ব লাল সরকার বলেন, আলুর জন্য ক্ষতিকর হলো ঘন কুয়াশা যা এখনো দেখা যায়নি। কুয়াশার কারণে নাবিধ্বষা রোগ হয়ে আলু গাছের পচন ধরে। এমন রোগ দেখা দিলে প্রতিশেধক হিসেবে ছত্রাক নাশক ওষুধ প্রয়োগ করতে হবে পাশাপাশি সকালে সেচ দেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। এছাড়া আলুর চাষ করলে একই মৌসুমে আলু তোলার পর পরেই কোমড়ার চাষ করে অতিরিক্ত লাভবান হওয়া যায়। শুরু থেকেই আমরা কৃষকদের মাঠ পর্যায়ে বিভিন্ন মরামর্শ দিয়ে আসছি তারাও সময়মত পরিচর্যা করায় আলুর বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে।

 


এইচকেআর
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন