বাউফলে মোটরচাইকেল চালককে হত্যাচেষ্টা


পূর্ব বিরোধের জেরে পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার নওমালা ইউনিয়নের বাবুর হাট এলাকায় বৃহস্পতিবার (২৭ জানুয়ারি) রাতে মো. জহির (৩৩) নামে এক যুবককে কুপিয়ে ও হাতুরিপেটা করে গুরুতর জখম করা হয়েছে। তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
জহির পূর্ব নওমালা গ্রামের বাসিন্দা মো. সেকান্দার আলী সিকদারের ছেলে। তিনি ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল চালক।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী সুত্রে জানা গেছে, আজ রাতে বাবুর হাট এলাকায় একটি চায়ের দোকানে বসে চা পান করছিলেন জহির। রাত আটটার দিকে স্থানীয় মো. মাসুদ সিকদারের (৩২) নেতৃত্বে ২৫-৩০ জনের একটি দল এসে জহিরকে ঘেরাও করে ফেলে এবং তাঁকে (জহির) এলোপাতাড়ি কুপিয়ে মাটিতে ফেলে হাত-পা, মাথা ও শরীরের বিভিন্ন অংশে হাতুড়িপেটা করে গুরুতর জখম করে ফেলে রেখে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন তাঁকে (জহির) উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের দায়িত্বে থাকা চিকিৎসা কর্মকর্তা মো. তাসিফুল ইসলাম বলেন,‘তাঁর শরীরের বিভিন্ন অংশে কোপের দাগ রয়েছে এবং হাত-পাসহ বিভিন্ন অংশ থেতলে দেওয়া হয়েছে। অবস্থা খুবই গুরুতর হওয়ায় এক্সরে করানো সম্ভব হয়নি। তবে বাঁ হাত ও দুই পায়ের হাড় ভেঙে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’
আহত ব্যক্তির স্বজন ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে,দীর্ঘদিন ধরে পূর্ব নওমালা গ্রামের বাসিন্দা নজরুল ইসলামের ছেলে মো. মাসুদ সিকদারের সঙ্গে একই গ্রামের জহিরের পূর্ব বিরোধ চলে আসছে। ওই বিরোধকে কেন্দ্র করে জহিরের ওপর হামলা চালানো হয়েছে।
এ বিষয়ে মাসুদ সিকদারের মুঠোফোনে কল করলে বন্ধ পাওয়া যায়।
বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল মামুন সত্যতা স্বীকার করে বলেন,‘ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।ঘটনা উদঘাটনের চেষ্টা চলছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এসএমএইচ
