সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত সেনা সদস্যের বাড়ি পটুয়াখালীতে


কয়েক বছর পরেই সেনাবাহিনীর চাকরি থেকে অবসর নেওয়ার কথা। চাকরি শেষে পটুয়াখালী শহরেই পরিবার নিয়ে বসবাস করার পরিকল্পনা ছিল সেনাবাহিনীর সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হাবিবুর রহমানের। সে অনুযায়ী পটুয়াখালী শহরের বহালগাছিয়া এলাকায় গাজী বাড়িতে নির্মাণ করেছেন ‘সেনা নিকেতন’ নামে একটি বাড়ি। তবে তার সেই স্বপ্ন অধরাই রয়ে গেল। আজ সেই বাড়ির উঠানেই চলছে তাকে সমাহিত করার প্রস্তুতি।
বুধবার (০২ ফেব্রুয়ারি) রাতে বান্দরবানের রুমা জোনের একটি টহল দলের সঙ্গে জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) মূল দলের সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের গোলাগুলিতে সেনাবাহিনীর সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হাবিবুর রহমান ও জেএসএসের তিনজন সশস্ত্র সন্ত্রাসী নিহত হয়েছেন। এছাড়া একজন সেনাসদস্য গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
এদিকে হাবিবুর রহমানের মৃত্যুর খবরে পটুয়াখালীতে তার নিজ বাড়িতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। আত্মীয় স্বজন ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা ভিড় করেছেন। হাবিবুর রহমানের পৈতৃক বাড়ি পটুয়াখালীর মহিপুরে হলেও পটুয়াখালী শহরের ১ নম্বর ওয়ার্ডের বহালগাছিয়ায় তিনি বাড়ি করেছেন।
নিহত হাবিবুর রহমানের বড় ছেলে হাসিবুর রহমান বলেন, আব্বার সঙ্গে সব সময় কথা বলতে পারতাম না। তিনি যখন ফোন করতেন তখনই কথা বলতে পারতাম। মোবাইলে নেটওয়ার্ক সমস্যা ছিল। গত রাতে আব্বার সঙ্গে কথা হয়। আব্বা বলেন- কোনো ভুল করলে ক্ষমা করে দিও, একটা অভিযানে যাচ্ছি। এরপর আজ সকালে খবর এলো বাবা আর নেই।
নিহত হাবিবুর রহমানের বোন আসিয়া বেগম বলেন, আমার ভাই আর আমাদের কাছে ফিরে আসবে না। এখন কীভাবে থাকবে এই এতিম বাচ্চাগুলো।
নিহত হাবিবুর রহমানের বাবা-মা, স্ত্রী ও দুই ছেলে রয়েছে। এর মধ্যে ছোট ছেলেও সেনাবাহিনীর সৈনিক পদে কর্মরত আছেন। বিকেল ৩টায় প্রথম জানাজা শেষ করে সেনাবাহীনীর হেলিকপ্টার যোগে তার মরদেহ পটুয়াখালী নিয়ে আসা হবে। পরে বিকেল ৫টায় তার বাড়ির সামনের মাঠে দ্বিতীয় জানাজা শেষে বাড়ির দক্ষিণ পূর্ব কোণে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।
এসএমএইচ
