হিজলায় ফসলি জমির মাটি কেটে দখলের অভিযোগ


বরিশাল জেলার হিজলা উপজেলার মেমানিয়া ডিক্রিরচর গ্রামে ভেকু দিয়ে জোরপূর্বক ফসলী জমির মাটি কেটে জায়গা দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত ২৯ এপ্রিল বৃহস্পতিবার সকালে জমির মালিক মিজানুর রহমান বাঘা নিজে বাদী হয়ে হিজলা থানায় আলতাব আকনের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ দায়ের করেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উক্ত জমিতে পাশ্ববর্তী ছয়গাঁও গ্রামের বাসিন্দা মৃত: আজিদ আকনের ছেলে গরুর কসাই আলতাব আকন জোরপূর্বক ১০ বছরের পুরনো গাছ কেটে ভেকু দিয়ে মাটি খনন করতে থাকেন। এতে জমির মালিক মিজানুর রহমান বাঘা বাধা দেয়ায় অভিযুক্ত আলতাব আকনসহ তার ছেলেরা এসব মালিকদের মারধর করেন। সেইসাথে পাশ্ববর্তী জমির মালিক মীমাংসার জন্য গেলে তাকেও মারধর করেন ভূমিদস্যু খ্যাত আলতাব।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আলতাব আকন বিভিন্ন সময় বিভিন্ন মানুষকে অত্যাচার করে আসছে। তার অত্যাচারে অতিষ্ঠ ভুক্তভোগী মিযানুর রহমান বাঘা বলেন, 'এ জমির সকল কাগজ-পত্র আমার আছে। গত কিছুদিন যাবৎ ভেকু দিয়ে আমার জমির মাটি কাটতে থাকে এবং আমার ১০ বছর আগের লাগানো গাছগুলোও কেটে ফেলে। এসময় আমি বাধা প্রদান করতে গেলে আলতাব আকন ও তার ছেলেরা আমাকে মারধর করে। এরপর আমি হিজলা থানায় মামলা দায়ের করি।'
এদিকে তাদের জমি দখলের খবর পেয়ে স্থানীয় কয়েকজন সাংবাদিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলে তাদের সাথেও ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করেন আলতাফ। তার কাছে সাংবাদিকরা কেন এলন এজন্য হুমকি ধমকি দিয়ে গালিগালাজ করতে থাকেন তিনি।
ঐ জমি সম্পর্কে স্থানীয় ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর জমাদ্দার এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'বিরোধপূর্ণ জমিতে আলতাব আকন গাছ কেটে মাটি খনন করে পুকুর করেছিলেন। পরে এনিয়ে মারামারি হয়েছে শুনেছি।
হিজলা থানার এস আই মনিরুজ্জামান তালুকদার বলেন, 'আমরা অভিযোগ পেয়ে সরেজমিনে পরিদর্শন করে বিরোধপূর্ণ জমিতে কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেই। এবং স্থানীয় ভাবে সালিশ মনোনীত করে দেওয়া হয়েছে, সালিশদ্বয় উভয় পক্ষের কাগজ পত্র দেখছে। আগামী ১৮ মে জমি মাপার তারিখ রয়েছে।
এমবি
