‘বিএনপি আস্তে আস্তে আবার উঁকি দিচ্ছে’


‘এখন বিএনপি আস্তে আস্তে উঁকি দিচ্ছে, বিএনপি এলাকায় আসার চেষ্টা করছে। কিন্তু এতদিন তাদের খবর ছিল না। গত নির্বাচনের সময় তাদের ধানের শীষের ক্যাম্পেইন করতে আমরা দেখেছি। কিন্তু গত ৩ বছর ধরে তাদের আর দেখা যায়নি। তারা বন্যার সময় ছিল না, ঘূর্ণিঝড়ের সময় ছিল না, গত দুই বছর করোনার সময়ও তাদের দেখা যায়নি। এখন আস্তে আস্তে তারা আবার উঁকি দিচ্ছে। বিএনপি জনপদে এসে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে তাদের কঠোর হস্তে দমন করা হবে।’
শুক্রবার চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার চন্দ্রঘোনা-কদমতলী ইউনিয়নের লিচু বাগান এলাকার একটি কমিউনিটি সেন্টারে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে ভার্চুয়ালি প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. হারুন সওদাগরের সভাপতিত্বে সম্মেলনে উদ্বোধক ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আবদুল মোনাফ সিকদার।
প্রধান বক্তা ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার শামসুল আলম তালুকদার।
সাধারণ সম্পাদক মো. জালাল উদ্দিনের সঞ্চালনায় সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন- উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি উপজেলা চেয়ারম্যান স্বজন কুমার তালুকদার, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক পৌরমেয়র মো. শাহজাহান সিকদার, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মো. আলী শাহ, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক চেয়ারম্যান ইদ্রিছ আজগর, সদস্য আকতার হোসেন খাঁন, উত্তর জেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা মাস্টার আসলাম খাঁন, শেখ ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী, আবু তাহের, আরিফুল ইসলাম চৌধুরী, এমরুল করিম রাশেদ, শেখর বিশ্বাস, ইলিয়াছ কাঞ্চন চৌধুরী, আবু মনছুর, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি শামসুদ্দোহা সিকদার আরজু প্রমুখ।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগের প্রাণ হচ্ছে তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। তৃণমূলের নেতাকর্মীরাই আওয়ামী লীগকে সমস্ত প্রতিকূলতার মধ্যেও ঠিকিয়ে রেখেছেন। আওয়ামী লীগের ইতিহাস লড়াই সংগ্রামের ইতিহাস। বাঙালির সমস্ত অর্জনের পেছনে জড়িয়ে রয়েছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নাম। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে আমরা স্বাধীনতা সংগ্রাম করেছি, বঙ্গবন্ধুর হাত ধরে আমরা স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছি। বাংলাদেশ সৃষ্টির পর বঙ্গবন্ধু যখন যুদ্ধ বিধ্বস্ত বাংলাদেশকে পুনর্গঠিত করে দেশকে যখন সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন তখন বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছিল। তাকে হত্যার পর বাংলাদেশকে দীর্ঘ ২১ বছর পিছিয়ে দেওয়া হয়েছিল। ১৯৯৬ সালে বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার গঠিত হওয়ার পর বাংলাদেশ আবার অগ্রগতি অর্জন করা শুরু করল।
দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেন, ‘আওয়ামী লীগের নেতাদের অনুরোধ জানাব- আপনারা মানুষের ঘরে ঘরে যান, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যে পরিবর্তনগুলো হয়েছে, সেই পরিবর্তনের কথাগুলো জনগণকে জানান। দলে মাদকাসক্তদের কোনো ঠাঁই হবে না, আমাদের দলে যারা ইয়াবা ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত, যারা জায়গা দখলের সঙ্গে যুক্ত, চাঁদাবাজির সঙ্গে যুক্ত তাদের কোনো ঠাঁই হবে না। দলের নাম ব্যবহার করে কেউ যেন অপকর্ম করতে না পারে সেই ব্যাপারে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। নতুন কমিটিতেও তাদের জায়গা দেওয়া যাবে না। যেই নেতৃত্বের কোনো বদনাম কিংবা দুর্নাম নাই, তাদেরকেই দলে জায়গা দিতে হবে।’
এইচকেআর
