থমকে যাওয়া বরিশাল শহরে সেই চেনা সময়


পুরনো সেই চেনা শহর, পুরনো সেই চেনা সময়, আবার ফিরে এসেছে। করোনা মহামারির কারণে দীর্ঘদিন গণপরিবহন বন্ধ ছিলো। ছিলনা যানবাহনের ছোটাছুটি। একভাবে থমকে ছিলো গোটা বরিশাল। সরকারি সিদ্ধান্তে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে চলাচল শুরু করেছে গণপরিবহন। পরিবহন চালু করে দেওয়ার প্রথম দিন যাত্রীর চাপ ছিলো চোখে পড়ার মতো। তবে বেশিরাভাগ বাস চালক ও হেলপারদের স্বাস্থ্যবিধি মানতে দেখা যায়নি।
বরিশালে এমনই ছিলো বৃহস্পতিবার (৬ মে) গণপরিবহন চলাচলের সার্বিক চিত্র।
আজ সকালে বরিশালের নথুল্লাবাদ এলাকায় মোড়ে কিছু বাসের চাপ দেখা গেছে। সময় বাড়ার সাথে সাথে এসব বাসে যাত্রী চাপও ছিলো উল্লেখ করার মতো। এসময় হাতে গোনা কয়েকটি বাসে স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে দেখা গেলেও বেশির ভাগ বাসেই স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টি ছিল উপেক্ষিত।
এক পরিবহন চালক বলেন, রাস্তায় যাত্রী নাই তারপরেও আমরা এক সিট ফাঁকা রেখে যাত্রী পরিবহন করছি। স্যানিটাইজার আছে? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, আছে- তবে দেখাতে পারেননি।
রূপাতলী টার্মিনালে বাসে বসা অফিসগামী এক যাত্রী বলেন, আমরা নিজেরা যতটুকু সচেতনতা দেখাচ্ছি ততটুকুই। অন্যথায় পরিবহনের পক্ষ থেকে কোন ধরণের স্বাস্থ্যবিধি মানার তোড়জোড় দেখি নাই। কিছু কিছু ক্ষেত্রে ভাড়া বেশি আদায় করা। এসব আসলে দেখার কেউ নাই।
এদিকে ঈদকে সামনে রেখে বরিশাল নগরীর সদর রোড, জেলখানা মোড়, বাংলাবাজার, আমতলা মোড়, সাগরদী থেকে রূপাতলী বাস টার্মিনাল, নতুন বাজার, নথুল্লাবাদসহ বিভিন্ন স্থানে ছোটযানবাহনের চলাচল ছিলো অনেক।
উল্লেখ্য, দীর্ঘ ২২ দিন বন্ধ ছিলো গণপরিবহন চলাচল। করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় ও বাস মালিক, শ্রমিকদের দাবির মুখে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে আবার খুলে দেওয়া হয়েছে গণপরিবহন। বাস মালিক ও শ্রমিক সমিতির পক্ষ্য থেকে বলা হয়েছিলো যেসব পরিবহন স্বাস্থ্যবিধি মানবে না তাদের কঠোর শাস্তি ও জরিমানার আওতায় আনা হবে।
টিএইচএ/ তানভীর হাসান আকিব
