ভোটার এলাকা পরিবর্তনের অভিযোগ নির্বাচন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে


সেবার নামে হয়রানি। ভোটারকে না জানিয়েই ভোটার এলাকা পরিবর্তন। সামান্য ভুল সংশোধেনের জন্য একাধিকবার অফিসে ধন্না দিয়েও কাজ হচ্ছে না। এসব অভিযোগ পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শাহাদাৎ হোসেনের বিরুদ্ধে।
জানা যায়, জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন, ভোটার স্থানান্তর, নতুন ভোটার হওয়াসহ বিভিন্ন কাজে অফিসে গিয়ে এ হয়রানির শিকার হচ্ছেন সেবা গৃহীতারা। এছাড়া ভোটারকে না জানিয়ে ভোটার এলাকা পরিবর্তন করেন বলে অভিযোগ রয়েছে নির্বাচন কর্মকর্তা শাহাদাৎ হোসেনের বিরুদ্ধে।
উপজেলার দেউলী সুবিদখালী ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের রানীপুর গ্রামের বাসিন্দা বিউটি বেগম। তিনি গত ইউপি নির্বাচনে ওই ওয়ার্ড থেকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে চেয়েছিল। কিন্তু তার ভোটার এলাকা তাকে না জানিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বাদল চৌকিদারের স্ত্রী হোসনেয়ারা বেগমের সঙ্গে আঁতাত করে তাকে ৪নং ওয়ার্ডে স্থানান্তর করেন ওই নির্বাচন কর্মকর্তা। ফলে গত ২৮ নভেম্বর তৃতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচনে সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে অংশগ্রহণ করতে পারেননি বিউটি বেগম।
বিউটি বেগম বলেন, ২০২১ সালের ২৮ নভেম্বর ইউপি নির্বাচনে দেউলী সুবিদখালী ইউনিয়নে ৭, ৮ ও ৯নং ওয়ার্ডে সংরক্ষিত সদস্য পদে অংশগ্রহণ করতে মনোনয়ন ফরম ক্রয় করি। মনোনয়ন ফরম পূরণ করে নির্বাচন অফিসে জমা দিতে গেলে তারা জানায়, ৪নং ওয়ার্ডের ভোটার আপনি। নির্বাচনে ওই ওয়ার্ড থেকে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না।
তিনি বলেন, আমার ভোটার এলাকা আমাকে না জানিয়ে কীভাবে পরিবর্তন হলো জানতে চাইলে নির্বাচন কর্মকর্তা এ বিষয়ে কোনো উত্তর দিতে পারেনি। উল্টো বিষয়টি কাউকে জানাতে নিষেধ করেন। তার কারণে ওই নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারিনি।
রিয়াজ কাজী নামে আরেক ভুক্তভোগী বলেন, আমার জাতীয় পরিচয়পত্রের ভুল সংশোধনের জন্য একাধিকবার নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে গিয়েও কোনো প্রতিকার পায়নি। যখনই যাই, তখনই বলেন পরে আসেন।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. শাহাদাৎ হোসেন বলেন, আফিসে আসেন এ বিষয়ে অফিসে বসে কথা হবে।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা খান আবি শাহানুর খান বলেন, এ ব্যাপারে এখন পর্যন্ত আমি কোনো অভিযোগ পাইনি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোসা. তানিয়া ফেরদৌস বলেন, এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বরাবর লিখিত অভিযোগ করলে ব্যবস্থা নিবেন বলে আশা করি।
সূত্র: যুগান্তর অনলাইন
এইচকেআর
