জিয়াউর রহমান এদেশের তরুণ সমাজকে বিপথগামী করেছিল: শেখ পরশ
.jpeg)

জিয়াউর রহমান এদেশের তরুণ সমাজকে বিপথগামী করেছিল। জিয়াউর রহমান পাকিস্তানের এজেন্ট হিসাবে এদেশকে ধ্বংস করার উদ্দেশ্যে তরুণ সমাজের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়েছিল। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে অস্ত্রের ঝঙ্কার নিত্ত-নৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছিল। অপর দিকে বঙ্গবন্ধুকন্যা বিনামূল্যে পুস্তক দিয়ে যাচ্ছে ছাত্র-ছাত্রীদের হাতে। আমাদের সজাগ থাকতে হবে যুবকদের যাতে স্বাধীনতা বিরোধীচক্র বিভ্রান্ত না করতে পারে।
আজ ১৬ ফেব্রুয়ারি শহীদ বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল স্টেডিয়াম (কমলাপুর স্টেডিয়াম) মাঠে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শেখ মণি ক্রীড়াচক্র ফুটবল একাডেমী অনুর্ধ্ব-১৮ টুর্ণামেন্টের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ এ কথা বলেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন-সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল। উক্ত টুর্ণামেন্টে মোট ১৬ টি দল অংশগ্রহণ করে। ১৬ দলের মধ্যে ফাইনালে অংশগ্রহণ করেন শেখ মণি ক্রীড়াচক্র ফুটবল একাডেমী ও নবাবগঞ্জ ফুটবল একাডেমী। ফাইনাল ম্যাচে নির্ধারিত সময়ে ৩-৩ গোলে ড্র হওয়ায় পেনাল্টি সুট আউটে নবাবগঞ্জ ফুটবল একাডেমী, শেখ মণি ক্রীড়াচক্র ফুটবল একাডেমীকে ৬-৫ গোলে পরাজিত করে।
যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেন-যুবলীগ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ১৯৭২ সালে। যুবলীগের উদ্দেশ্য কি ছিল? কি ধরণের যুব সমাজ করতে চেয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়া নিশ্চিত করার জন্যই বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে শেখ ফজলুল হক মণি যুবলীগ গঠন করেছিলেন। ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধু, শেখ ফজলুল হক মণিকে নির্দেশ দিয়েছিল একটা যুব সংগঠন গঠন করতে। একদিকে যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশ, অন্য দিকে এক ঝাঁক যুদ্ধ ফেরত অস্ত্র হাতে তরুণ মুক্তিযোদ্ধারা, যাদেরকে সুসংগঠিত করে দিকনির্দেশনা দেওয়া তখন একান্ত প্রয়োজন হয়ে দেখা দিয়েছিল। এই দায়িত্ব তিনি ৬০ এর দশকের ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, তার অত্যান্ত আস্থাভাজন শেখ ফজলল হক মণিকে তিনি দিয়েছিলেন। শেখ ফজলুল হক মণি খুক কম সময়ের মধ্যে শুধু যুবলীগকে সুসংগঠিত করেন। একটা মর্যাদাশীল দেশ হিসাবে বহিঃবিশ্বে সম্মান অর্জন করা আমাদের কাজ। এক্ষেত্রে দেশের যুব সমাজের ভূমিকা অপরিহার্য। ৭০, ৮০ ও ৯০ দশকের ফুটবল যেন ছিল এই দেশের বিনোদনের অন্যতম মাধ্যম। কাজী সালাউদ্দিন থেকে শুরু করে চুন্নু-আসলাম-বাদল রায়সহ তারকার অভাব ছিল না। এখনো আমি মনে করি অপার সম্ভাবনাময় আমাদের ফুটবল। ফুটবল সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা। বর্তমান সরকারের আমলেই এদেশের ক্রীড়া ক্ষেত্রে যুগান্তকারী সাফল্য অর্জন হচ্ছে।
যুবলীগের প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী’র সঞ্চালনায় পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন-যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মো. মোয়াজ্জেম হোসেন, মো. জসিম মাতুব্বর, মো. আনোয়ার হোসেন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বিশ্বাস মুতিউর রহমান বাদশা, সুব্রত পাল, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু মুনির মো. শহিদুল হক চৌধুরী রাসেল, মশিউর রহমান চপল, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাইন উদ্দিন রানা, ক্রীড়া সম্পাদক মো. নিজাম উদ্দিন চৌধুরী পারভেজ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মো. শামছুল আলম অনিক, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মো. আবদুল মুকিত চৌধুরী, ধর্ম বিষয়ক সম্পাাদক মাওলানা খলিলুর রহমান সরদার, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক এ্যাড. মুক্তা আক্তার, উপ-দপ্তর সম্পাদক মো. দেলোয়ার হোসেন শাহজাদা, উপ-তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক এন আই আহমেদ সৈকত, উপ-ক্রীড়া সম্পাদক মো. আবদুল রহমান, সহ-সম্পাদক ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা ওয়ারেছী চঞ্চল, আরাফাত হোসেন খানসহ কেন্দ্রীয় মহানগর ও বিভিন্ন ওয়ার্ড যুবলীগের নেতৃবৃন্দ।
এইচকেআর
