সিজারের সময় নবজাতকের হাত ভেঙে ফেলার অভিযোগ


বরগুনার তালতলী উপজেলায় সিজার করতে গিয়ে নবজাতকের ডান হাতের কনুইয়ের ওপরের হাড় ভেঙে ফেলার অভিযোগ উঠেছে একটি বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। বুধবার রাতে এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নবজাতকের দাদা আবু হানিফ ওই হাসপাতালের চিকিৎসকসহ কর্তৃপক্ষের বিচার চেয়ে তালতলী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন।
জানা যায়, গত ১২ ফেব্রুয়ারি জান্নাতুল মাওয়া নামের এক অন্তঃসত্ত্বা নারী চেকআপ করানোর জন্য বেসরকারি হাসপাতালে আসেন। ওই হাসপাতালে চিকিৎসক অন্তঃসত্ত্বা নারীকে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দ্রুত সিজার করার পরামর্শ দেন। সিজার (অস্ত্রোপচার) না করলে অনাগত শিশুকে বাঁচানো সম্ভব হবে না। ভুক্তভোগী পরিবার থেকে তাৎক্ষণিক সিজার করার জন্য অনুমতি দেয়। অনুমতি পেয়ে ওই দিন সন্ধ্যায় চিকিৎসক সিজারের জন্য অন্তঃসত্ত্বা নারীকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যান। পরে সন্ধ্যা ৭টার দিকে হাসপাতালের বেডে মা ও নবজাতককে হস্তান্তর করেন। শুরুতেই নবজাতকের কান্নাকাটি শুরু হয়। সিজারের সময় চিকিৎসকের অদক্ষতা ও চরম অবহেলার কারণে নবজাতক শিশুটির ডান হাতের কনুইয়ের ওপরের অংশে ভেঙেছে বলে অভিযোগ করেছেন নবজাতকের দাদা আবু হানিফ। সেই রাতেই কর্তব্যরত চিকিৎসক ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মা ও নবজাতককে অন্য কোনো সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলেন। কোনো উপায় না পেয়ে নবজাতক শিশুটিকে পটুয়াখালী হাসপাতালে নেয় তার পরিবার। সেখানকার চিকিৎসক বলেন শিশুটির হাত ভেঙে গেছে। এরপর পরবর্তী চিকিৎসা দেওয়া হয়। এদিকে নবজাতক শিশুর দাদা আবু হানিফ বাদী হয়ে ওই চিকিৎসক ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে তালতলী থাকায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ পেয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করে পুলিশ।
হাসপাতালের মালিক ফাহিম এ ব্যাপারে বলেন, আমাদের এখানে থাকাকালীন নবজাতকের হাত ভেঙে যায়নি। নবজাতকের আত্মীয়স্বজনের কারণেই হাত ভেঙে গেছে। আপনাদের হাসপাতালে সিজারের কোনো অনুমতি আছে কিনা জানতে চাইলে কোনো বক্তব্য না দিয়েই ফোনটি কেটে দেন। এ বিষয়ে তালতলী থানার ওসি কাজী শাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, এ ঘটনায় আমি একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। সঠিক তদন্ত করে অভিযোগ প্রমাণিত হলে দোষীদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এইচকেআর
