বরগুনা শ্রমিক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক হলেন যুবলীগের সহ সভাপতি


দীর্ঘ অপেক্ষার পর বরগুনা জেলা যুবলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। রোববার (৬ মার্চ) যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ এবং সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল সই করা পৃথক বিজ্ঞপ্তিতে জেলা কমিটির ব্যাপারে জানানো হয়েছে। বিবৃতিতে জানানো হয়, বরগুনা জেলা যুবলীগের সভাপতির দায়িত্ব পেয়েছেন মো. রেজাউল করিম অ্যাটম এবং সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন মো. আবুল কালাম আজাদ। সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়ে কোন বিতর্ক না থাকলেও প্রশ্ন উঠেছে অন্যন্য পদ নিয়ে।
অভিযোগ উঠেছে, বরগুনা জেলা শ্রমিক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদুল করিম বাবু সদ্য ঘোষিত কমিটির সহ সভাপতির দায়িত্ব পেয়েছেন। এ নিয়ে নেতা-কর্মীদের মাঝে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। তারা বলছেন, জাহিদুল করিম বাবু এক সময়ে কট্টর বিএনপির নেতা ছিল। এমনি সরকার বিরোধী নানান কর্মকান্ডেও তিনি সক্রিয় ছিলেন। এছাড়াও জেলা শ্রমিকদলের সাংগঠনিক সম্পাদকেরও দায়িত্ব পালন করেছে। হঠাৎ করে জেলা যুবলীগের কমিটিতে সহ সভাপতি পদ পাওয়া নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ত্যাগী এবং বঞ্চিত নেতা-কর্মীরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক যুবলীগের এক নেতা বলেন, ‘আমরা দীর্ঘদিন ধরে যুবলীগ করে আসছি, অথচ আমরা কোন পদ পাইনি। পদ পেয়েছে শ্রমিক দল নেতা।’ আরেক নেতা বলেন,‘ এই কমিটিকে বিতর্কিত করতেই বিএনপির লোক প্রবেশ করানো হয়েছে। বিষয়টি কেন্দ্রীয় নেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
অপরদিকে আরো সমালোচনা চলছে, নৌকার বিরুদ্ধে বিদ্রোহী হিসেবে নির্বাচন করা তানভির আহমেদ সিদ্দিকির পদ পাওয়া নিয়েও। গেল ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকার প্রতীকের বিরুদ্ধে নির্বাচন করে জননেত্রীর নৌকাকে পরাজিত করে তিনি বিজয়ী হয়েছেন। সদ্য ঘোষিত যুবলীগ কমিটিতে জনশক্তি ও কর্মসংস্থান সম্পাদক হিসেবে তার নাম রয়েছে। এছাড়াও তার আপন বড় ভাই বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান মনির উপজেলা নির্বাচনে নৌকার বিরুদ্ধে নির্বাচন করে নৌকা পরাজিত করেছেন। কথিত রয়েছে বরগুনাতে নৌকার বিরুদ্ধে নির্বাচন করা তাদের পরিবারের ঐতিহ্য।
এ বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের এক নেতা জানান, অনেক যাচাই বাছাইয়ের পরে কমিটি দিয়েছে কেন্দ্রীয় যুবলীগ। এখন তারা যদি বিএনপি এবং বিদ্রোহী লোকদের দিয়ে যুবলীগ করাতে চায় তবে এ ক্ষেত্রে জেলা আওয়ামী লীগের কিছুই করার নেই। যারা নৌকার কিরুদ্ধে নির্বাচন করে তারাই আবার পদ পায়, আর ত্যাগীরা বার বার বঞ্চিত হয়।
উল্লেখ্য, দীর্ঘ ১৬ বছর পর গত বছরের ২০ ডিসেম্বর বরগুনা জেলা আওয়ামী যুবলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
এসএমএইচ
