ঢাকা রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫

Motobad news

জাতীয় সরকার গঠন নিয়ে ‘সন্দিহান’ গয়েশ্বর

জাতীয় সরকার গঠন নিয়ে ‘সন্দিহান’ গয়েশ্বর
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন


জাতীয় সরকার গঠন নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, জাতীয় সরকারের রূপরেখা কারা করছে, কোনো ভিত্তিতে এটাকে মূল আন্দোলনে আড়াল করার জন্য সরকারের কোনোকিছু কিনা, তা নিয়ে ধারণা আমাদের নেই।

বুধবার (৩০ মার্চ) রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচতলায় ঢাকা জেলা বিএনপির উদ্যোগে অনুষ্ঠিত প্রতীকী গণঅনশন কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও সর্বগ্রাসী দুর্নীতির প্রতিবাদে ওই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
 
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, যারা একটু ধৈর্যহারা হয়ে গেছে, তারা আবার চাচ্ছে কি? জাতীয় সরকার। এখন জাতীয় সরকারটা কি? তার কি রূপরেখা, কি তাৎপর্য? এখন এই জাতীয় সরকার রূপরেখা কারা করতেছে, কোনো ভিত্তিতে এটাকে মূল আন্দোলনে আড়াল করার জন্য সরকারের কোনোকিছু কিনা, তা নিয়ে ধারণা আমাদের নেই।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, আমাদের মধ্যে নানা বিভ্রান্তি থাকতে পারে, চাওয়া-পাওয়া থাকতে পারে। অনেক সময় অনেক কিছু কথা আসছে। আমরা চাচ্ছি নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন, আর সেই লক্ষে আমরা আন্দোলন করছি।

দলীয় কর্মসূচিতে নেতাকর্মীদের করণীয় জানিয়ে গয়েশ্বর বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের যে আন্দোলনটি আমাদের চলছে, আমাদের ভারপ্রাপ্ত তারেক রহমানের নেতৃত্বে, এটার লক্ষ্য যতক্ষণ পর্যন্ত অর্জন না হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত নানা প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে নানা কর্মসূচী থাকবে। সুতরাং দল কর্তৃক আমাদের যে সমস্ত কর্মসূচী দেওয়া হয় সেগুলো সুষ্ঠুভাবে পালন করবেন এবং আন্তরিকতার সঙ্গে পালন করবেন।

গয়েশ্বর বলেন, ‘দল খুব সুচিন্তার মধ্য দিয়েই কর্মসূচী দিচ্ছে এবং তার ধারাবাহিকতার মাধ্যমেই কিন্তু আমরা এগিয়ে যাচ্ছি ফ্যাসিবাদের পতনের দিকে। সে জন্যই বলছি যে, দল থেকে যে কর্মসূচী দেওয়া হয় তা আপনারা যথাযথভাবে পালন করবেন। যেন এই সরকার উপলব্ধি করতে পারে যে তাদের সময় শেষ। শুধুমাত্র একটা অনুষ্ঠান করলাম, সেখানেই আমাদের সীমাবদ্ধ থাকলে চলবে না। একের পর এক কর্মসূচি আমাদের আসতেই থাকবে।’

বিএনপির এই নেতা বলেন, আমাদের বৃহত্তর একটি জাতীয় ঐক্য, এটা জনগণের প্রত্যাশা। যে কোনো ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে কিংবা স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে যখন আন্দোলন হয়, সবাই আশা করে একটা জাতীয় ঐক্য। জাতীয় ঐক্য জনগণের আস্থা অর্জন করে। এখানে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে কার কতটুকু শক্তি আছে, সেটা বিবেচনার বিষয় না। বরঞ্চ সরকারের বাইরে যে কয়টি রাজনৈতিক দল আছে, তাদের একত্রিত করাটায় এই মুহূর্তে জরুরি।

এর আগে একই প্রোগ্রামে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের পর যারা গণতান্ত্রিক শক্তির পক্ষে থাকবে তাদের নিয়ে জাতীয় সরকার গঠন করা হবে বলে জানান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি ডা. দেওয়ান মো. সালাহউদ্দিনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আবু আশফাকের সঞ্চালনায় অনশন কর্মসূচিতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান মো. শাহজাহানসহ ঢাকা জেলা বিএনপির শতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।


এসএম
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন