ঢাকা সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫

Motobad news

তালাবদ্ধ লোহার চেইন নিয়ে নদীতে ভাসছিল মরদেহ

তালাবদ্ধ লোহার চেইন নিয়ে নদীতে ভাসছিল মরদেহ
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

তালা দেওয়া লোহার বড় একটি চেইন শরীরে নিয়ে নদীতে ভাসছিল একটি মরদেহ। তা দেখে স্থানীয় পুলিশকে খবর দেয় নদীপাড়ের মানুষজন। মরদেহটি উদ্ধারের পর পরিচয় মেলে সঙ্গে থাকা জাতীয় পরিচয়পত্র থেকে। সে অনুযায়ী খবর দিয়ে যশোরের শার্শা থানা পুলিশ মরদেহটি শনাক্ত করে।

মরদেহটি রাজশাহীর বাঘা উপজেলার পাকুড়িয়া ইউনিয়নের কেশবপুর গ্রামের ফজল মন্ডলের ছেলে জহুরুল মন্ডলের (৩৪)।

তার ভাই আমিরুল ইসলাম ও সেন্টু আলী জানান, গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার আগে শার্শা থানা পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে। এরপর তার কাছে থাকা ব্যাগের ভেতরে পরিচয়পত্র পায়। সেই পরিচয়পত্রে নাম-ঠিকানা দেখে বাঘা থানায় খবর দেয়। বাঘা থানা পুলিশ সেই ঠিকানা মতে স্থানীয় ইউনিয়ন চেয়ারম্যানকে জানায়। চেয়ারম্যানের মাধ্যমে জানার পর শুক্রবার শার্শা থানায় গিয়ে মরদেহ শনাক্ত করেন আমিরুল ও সেন্টু।

তার শরীরে তালা দেওয়া লোহার চেইন কেন জানতে চাইলে জহুরুলের স্ত্রী রাশিদা জানান, মরদেহ উদ্ধারের পাঁচদিন আগে আজমির শরিফে যাওয়ার কথা বলে লোহার তৈরি চেইন শরীরে পরে বাড়ি থেকে বের হন জহুরুল। সেই চেইনে পাঁচটি তালা লাগানো ছিল। ওজন ছিল প্রায় ২০ কেজির মতো। এর আগে লোহার সেই চেইন ব্যবহার করেননি। বছরখানেক আগে যশোরে কাজে গিয়ে একজন পীরের কাছে বায়াত গ্রহণ করেন বলে তাকে জানিয়েছিলেন জহুরুল। তবে তার নাম বলতে পারেননি তিনি।

সেন্টু আলী জানান, দাফনের আগে সেই তালা খুলতে পারেননি তারা। কী কারণে তিনি মারা যেতে পারেন, সে সম্পর্কেও কিছু জানাতে পারেননি। তবে কলাগাছের ভেলায় চড়ে নদী পার হওয়ার সময় ডুবে মারা যেতে পারেন বলে ধারণা তাদের।

বাঘা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুল করিম বলেন, শার্শা থানা থেকে নাম-ঠিকানা জানার পর বিষয়টি স্থানীয় চেয়ারম্যানকে জানানো হয়।

ইউপি চেয়ারম্যান মেরাজ আলী মেরাজ বলেন, শনিবার আসর নামাজের পর জানাজা শেষে মরদেহটি দাফন করা হয়েছে। মরদেহে পচন ধরে গন্ধ ছড়াচ্ছিল। এছাড়া তালাবদ্ধ চেইন লাগানো অবস্থায়ই তাকে দাফন করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।


এএজে
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন