মৃদু তাপপ্রবাহে জ্বলছে নগরী, বাড়বে আরও


জ্যৈষ্ঠের শুরুতেই বরিশালে ক্রমশ বাড়ছে রোদের তাপমাত্রা। গত ১৫ মে থেকে শুরু হওয়া মৃদু তাপপ্রবাহ বুধবার সর্বোচ্চ ৩৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠেছে। চলতি মাসে বৃষ্টির সম্ভাবনা না থাকায় এ তাপমাত্রা মাঝারী তাপপ্রবাহে গিয়ে ঠেকতে পারে বলে ধারণা আবহাওয়াবিদদের।
তবে বঙ্গপসাগরে তৈরি হওয়া মৌসুমী বায়ু চাপ সক্রিয় হলে তাপমাত্রা কমার সাথে সাথে বৃষ্টির দেখা মিলবে বলে জানিয়েছেন বরিশাল আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র পর্যবেক্ষক মাসুদ রানা রুবেল।
এদিকে, অস্বাভাবিক তাপ্রবাহের কারণে নগরীর জনজীবনে অস্বস্তি নেমে এসেছে। বিশেষ করে প্রচণ্ড গরমে নাভিশ্বাস উঠেছে মাঠ পর্যায়ে কাজ করা শ্রমজীবী মানুষের। আবার গৃহস্থালীর মানুষও অতি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাহির হচ্ছে না। প্রচণ্ড তাপদাহের কারণে হাঁপিয়ে উঠেছে প্রাণিকুলও।
তবে গরমে পোয়াবারো ইলেকট্রনিক সামগ্রী ব্যবসায়ীদের। দুঃসহ গরমের থেকে রক্ষা পেতে ওইসব প্রতিষ্ঠানে বেড়েছে ফ্রিজ আর এয়ারকন্ডিশেনের বেচা-বিক্রি। এমনটিই জানিয়েছেন বরিশালের ইলেকট্রনিক সামগ্রী ব্যবসায়ীরা।
বরিশাল আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, ‘গত ১৫ মে’র পর থেকেই বরিশালে তাপমাত্রা অস্বাভাবিক ভাবে বাড়তে থাকে। বৃষ্টির দেখা না পাওয়ায় জ্যৈষ্ঠের শুরুতে তাপমাত্রা মৃদু তাপপ্রবাহে পরিণত হয়েছে। চলতি মাসে তাপপ্রবাহ আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া পর্যবেক্ষকগণ।
বরিশাল আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র পর্যবেক্ষক মাসুদ রানা রুবেল বলেন, ‘মূলত ৩৬-৩৮ ডিগ্রি পর্যন্ত তাপমাত্রাকে মৃদু তাপপ্রবাহ বলা হয়। এছাড়া ৩৮-৪০ মাঝারী এবং তার পরবর্তী তাপমাত্রাকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ হিসেবে শনাক্ত করা হয়।
তিনি বলেন, ‘বুধবার (১৯ মে) বরিশালে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিন সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বাতাসের আদ্র্র্রতা ছিল সর্বোচ্চ ৬৭ শতাংশ। এর আগে চলতি বছরের গত এপ্রিল মাসে বরিশালে সর্বোচ্চ ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছিল। যেটাকে মাঝারী তাপপ্রবাহ হিসেবে দেখা হয়। এটি ছিল বিগত সাত বছরের রেকর্ড। চলমান তাপমাত্রা মাঝারী তাপপ্রাহের দিকে এগিয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা এই পর্যবেক্ষকের।
তিনি আরও বলেন, ‘আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী চলতি মাসে চলমান তাপপ্রবাহ এমনি থাকবে। বৃষ্টি না হওয়া পর্যন্ত আবহাওয়ার পরিবর্তন হবে না। বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া মৌসুমী বায়ুচাপ অধিক সক্রিয় হলে বৃষ্টি হবে। তখন তাপমাত্রাও কমবে। সেটা জুন মাসের আগে নয়। তবে আগামী ২৩ মে সর্বোচ্চ দুই মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টিপাত হওয়ার পূর্বাভাস পাওয়া যাচ্ছে।
এই পর্যবেক্ষক বলেন, ‘মূলত মৌসুমের কারণেই তাপ প্রবাহ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এখন জ্যৈষ্ঠ মাস চলছে। আর বৈশাখ এবং জ্যৈষ্ঠ মাসে অর্থাৎ গ্রীষ্মকালিন সময়ে তাপমাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় একটু বেশিই থাকে বলে জানান তিনি।
এমবি
