বিকল পাম্প : পানির জন্য হাহাকার নগরীর দুই ওয়ার্ডবাসীর


চলমান দাবদাহের তপ্ততায় বিপর্যস্ত নগরজীবন। তার মধ্যে সিটি কর্পোরেশনের একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন পাম্প (গভীর নলকূপ) বিকল হওয়ায় পানির জন্য হাহাকার পড়ে গেছে নগরীর দক্ষিণ জনপদের দুটি ওয়ার্ডে। তার ওপর শুষ্ক মৌসুমে ভূগর্ভস্থ পানির লেয়ার (স্তর) কমে যাওয়া দূর্ভোগ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে কয়েক হাজার মানুষের।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নগরীর ২৪ ও ২৫ নং ওয়ার্ডে সিটি কর্পোরেশন থেকে পানি সরবরাহ করা হয় রূপাতলী (লালা দিঘির পাড়) এলাকার একটি পাম্প দ্বারা। গত সপ্তাহের বুধবার পাম্পটি বিকল হয়ে যায়। এতে বিঘœ ঘটে স্বাভাবিক পানি সরবরাহের।
এদিকে, চলমান শুষ্ক মৌসুমে (এপ্রিল - মে) সাধারণত ভূগর্ভস্থ পানির লেয়ার নীচে নেমে যায়। যার দরুন বসতবাড়ি গুলোর সাধারণ মটর বা নলকূপে পানি পাওয়া যায় না। এসব কারণে স্থানীয় প্রায় ১৫ হাজার পরিবার ভুগছেন নিদারুণ পানির সংকটে।
ভুক্তভোগী পূর্ব রূপাতলী এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা শফিক মুন্সি বলেন, পানির লেয়ার নীচে নেমে যাওয়ায় বছরের এই শুষ্ক মৌসুমে সাধারণ ব্যক্তিগত মটরে পানি ওঠে না। তাই আমাদেরকে সিটি কর্পোরেশন থেকে সরবরাহকৃত পানির ওপরেই ভরসা করে থাকতে হয়। কিন্তু সম্প্রতি আমাদের এলাকার পানির পাম্প অকেজো হওয়ায় গত ৬ দিন যাবৎ পানির তীব্র সংকটে পরতে হয়েছে। যা চলমান দাবদাহে আরো বেশি সমস্যায় ফেলেছে।
পাম্প হাইজের ইনচার্জ মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘প্রতিদিন ১৫ হাজার গ্যালন (৬০ হাজার লিটার) পানি উত্তোলন করা হয় এ পাম্পটি দিয়ে। যা নগরীর দক্ষিণ জনপদের ২৪ ও ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের প্রায় ১৫ হাজার পরিবারে সরবরাহ করা হয়। গত সপ্তাহের বুধবার পাম্পের মটারের কয়েল পুড়ে যাওয়ায় পানি সরবরাহ বিঘিœত হচ্ছে। তবে পাম্প সচল করে তুলতে কাজ চলছে বলে জানান তিনি।
এ প্রসঙ্গে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের পানি শাখার নির্বাহী প্রকৌশলী সোহরাব হোসেন জানিয়েছেন, ‘অতিরিক্ত গরম আর বিদ্যুতিক গোলযোগের কারণে পাম্পের মটার পুড়ে গেছে। গরমে এমনটি হতে পারে। পাম্পটি সচল করতে আমাদের কাজ চলছে। এরি মধ্যে রোববার নতুম মটার ওঠানো হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে আজ সোমবারের মধ্যেই পাম্পটি চালু করা সম্ভব হবে। এতে ওই ওয়ার্ডের মানুষের দূর্দষা দূর হবে।
এমবি
