তালিকায় নেই নতুন পরিবহন, নামছে এসি মাইক্রো সার্ভিস


পদ্মা সেতুর উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে দক্ষিণের জনপদের পরিবহন সেক্টরে পরিবর্তনের হাওয়া বইছে। সংশ্লিষ্ট দফতরগুলো নতুন নতুন উদ্যোগ নিচ্ছে যান চলাচল স্বাভাবিক করতে। বাস মালিকরা মহাসড়কে পাল্লা দিতে মেরামত করে নিচ্ছে পরিবহনগুলো। এদিকে লঞ্চমালিকরা শঙ্কা প্রকাশ করলেও যাত্রী আকর্ষণে চ্যালেঞ্চ গ্রহন করেছে। তারই মধ্যে নতুন নিয়মিত সার্ভিসে যুক্ত হচ্ছে অর্ধমত শীততাপ নিয়ন্ত্রিত মাইক্রোবাস। মাইক্রো সার্ভিস সংশ্লিষ্টরা দাবী করছে, যাত্রী সেবায় অন্য যেকোন পরিবহনের তুলনায় বেশি জনপ্রিয়তা পাবে এই পরিবহন। এজন্য পুরাতন গাড়িগুলোকে মেরামত আর নতুন গাড়ি রুটে নামানো হচ্ছে। আগে বরিশাল থেকে পদ্মার এপার কাঁঠালবাড়ি পর্যন্ত সার্ভিস থাকলেও সেতু চালু হলে রাজধানীর সাথে নিরবচ্ছিন্ন সেবা দিতে পারবে তারা। তাই তোড়জোড়ও এখন বেশি। মূলত পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে ছোট এই যানবাহনের বৃহৎ সম্ভাবনার সৃষ্টি করছে। মাইক্রোবাস সার্ভিস চালু হওয়ায় ঢাকা যাতায়াতে বাসের থেকে কমপক্ষে একঘন্টার সময়খরচ কমিয়ে আনতে পারবে দ্রুত গতির মাইক্রোবাস।
নথুল্লাবাদের মাইক্রোবাস চালক লিটন বলেন, আগে ফেরীর কারনে কাঠালবাড়ি পর্যন্ত আমরা যেতে পারতাম। ফেরীর দীর্ঘসময়ক্ষেপনে যে ভাড়া হতো তা যাত্রীরা দিতে পারতেন না। তবে এখন ফেরী বিড়ম্বনা না থাকায় যাত্রী নিয়ে ঢাকায় পৌঁছে দেওয়া যাবে।
আরেক চালক সুমন বলেন, মাইক্রো সার্ভিসের অর্ন্তভূক্ত মালিক সমিতি প্রস্তুতি গ্রহন করেছেন। উদ্বোধনের পরের দিন থেকে আমরা সার্ভিস শুরু করবো।
তিনি জানান, আগে আড়াই ঘন্টায় কাঠালবাড়ি পর্যন্ত যেতাম। ভাড়া আদায় করতাম ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা। যাত্রীও ছিল সন্তোষজনক। সেতু চালু হলে যাত্রীরা দ্রুত গন্তব্যে যেতে লঞ্চ ও বাসের চেয়ে মাইক্রোসার্ভিসকে বেছে নিবে তাদের সুবিধার জন্য। মূলত পদ্মা সেতু আমাদের সুদিন ফিরিয়ে দিচ্ছে।
লাইনম্যান আবুল হোসেন বলেন, অনেক লোক আছেন তাদের প্রাইভেটকার ক্রয়ের ক্ষমতা নেই। কিন্তু কাজের প্রয়োজনে তাদের দ্রুত যেতে হয়। কয়েক বছর ধরে আমি লাইনম্যানের দায়িত্বে আছি। সেই অভিজ্ঞতা থেকে বলছি যদি ভালো মানের গাড়ি রুটে থাকে তাহলে বাস-লঞ্চের চেয়ে বেশি জনপ্রিয় হবে মাইক্রো সার্ভিস।
নথুল্লাবাদ মাইক্রো সার্ভিসের পরিচালক গোলাম কবির বলেন, বরিশালের মালিকানাধীন ২০/২২টি আর ঢাকার মালিকানাধীন মিলিয়ে অর্ধশত মাইক্রো মালিক ইতোমধ্যে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যাত্রীসেবা দিতে নিয়মিত পরিবহন চালু রাখবো। আমাদের মাইক্রো সার্ভিসের সবগুলো গাড়ি হবে শীততাপ নিয়ন্ত্রিত। এখন পর্যন্ত ভাড়া নির্ধারণ করা হয়নি। মূলত পদ্মাসেতু উদ্বোধনের পর নির্ধারণ করা হবে।
তিনি বলেন, দক্ষিণাঞ্চলে এখন শিল্প-প্রতিষ্ঠানের মালিক কর্মকর্তারা আসবেন। তাই আমরাও চাইবো সর্বোচ্চ ভালো সেবা দিতে। বরিশালের নথুল্লাবাদ থেকে মাইক্রো সরাসরি গাবতলী পর্যন্ত যাত্রী নিয়ে যাবে। আবার সেখান থেকে যাত্রী নিয়ে বরিশালে এসে পৌঁছে দিবে। গোলাম কবির আরো বলেন, মাইক্রো ছাড়ার নির্ধারিত সময়সীমা নেই। যাত্রীপূর্ণ হলেই গাড়িগুলো ছেড়ে যায়।
বরিশাল জেলা বাস মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক কিশোর কুমার দে জানিয়েছেন, পদ্মা সেতু উদ্বোধন হলেও এখন পর্যন্ত নতুন কোন পরিবহন যুক্ত হচ্ছে বলে আমার জানা নেই। যতগুলো পরিবহন এই অঞ্চলে চলাচল করতো সেগুলোই যাত্রী সেবা দিয়ে থাকবে। আর মাইক্রো সার্ভিস আমাদের অর্ন্তভূক্ত কোন পরিবহন নয়।
এসএমএইচ
