ভোলায় শিশু নির্যাতনের অভিযোগে দাদী গ্রেপ্তার


ভোলার বোরহানউদ্দিনে তানিশা (৭) নামের এক শিশুকে নির্যাতনের অভিযোগে দাদী মনোয়ারা বেগমকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) সকাল সাড়ে ১১টায় দেউলা ইউনিয়নের চরটিটিয়া গ্রামের মাঝি বাড়ীতে নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। মনোয়ারা বেগম ওই এলাকার মো. ইউনুস মাঝির স্ত্রী এবং তানিশার দাদী। ঘটনার পর শনিবার রাতে আহত শিশুর মা মোছাঃ সোনিয়া বেগম বাদী হয়ে বোরহানউদ্দিন থানায় একটি মামলা দায়ের করেন এবং ওই রাতেই পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।
আহত শিশুর মা সোনিয়া বেগম জানান, ৬ বছর পূর্বে তানিশার বাবা মো. হারুনের সঙ্গে তার ডিভোর্স হয়। এরপর থেকে তানিশা আমার কাছে ছিল। গত দুই মাস আগে সাবেক স্বামী মো. হারুনের মা মনোয়ারা বেগম তানিশার ভরণপোষণ দিবে বলে আমাদের কাছ থেকে নিয়ে যায়। এরপর থেকে বিভিন্ন সময়ে তাকে নির্যাতনের খবর পাই। গত বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টায় মোবাইল হারানোর অজুহাতে মনোয়ারা বেগম আমার মেয়ে তানিশার মাথার চুল ধরে এলোপাথারীভাবে মাটিতে আছাড় মারেন। লোহার প্লাস দিয়া তানিশার ডান হাতের তর্জনি আঙ্গুল টেনে রক্তাক্ত জখম করে। এতেও ক্ষান্ত না হয়ে গাছের সঙ্গে দিনভর বেধে রেখে অত্যাচার নির্যাতন করে। নির্যাতনের চিত্র প্রতিবেশীরা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ভিডিও করে। আমাকে খবর দিলে আমি গিয়ে তাকে উদ্ধার করে বোরহানউদ্দিন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করি।
এদিকে নির্যাতনের ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হলে ব্যাপক নিন্দা ও করা সমালোচনা করেন অনেকেই।
বোরহানউদ্দিন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহিন ফকির জানান, এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং অভিযুক্ত মনোয়ারা বেগমকে গ্রেপ্তার করে কোর্টে প্রেরণ করা হয়েছে।
এমইউআর
