চরফ্যাশনের পর্যটকদের পদচারণায় বিনোদন কেন্দ্র গুলো মুখরিত


এ যেন প্রকৃতির এক মায়বি হাতছানি। করোনার জিম্মিদশা থেকে মুক্তির পর এবারই বিনোদনপ্রিয় মানুষের পদচারণায় মুখরিত চরফ্যাশনের প্রতিটি বিনোদন কেন্দ্র।
ঈদ মানেই আনন্দ ঈদ মানেই খুশি। সেই ঈদের ভ্রমন পিপাসুদের জন্য হাতছানি দিয়ে অপেক্ষায় থাকেন পর্যটন নগরী ভোলার চরফ্যাশনের পর্যটন স্পটগুলো। ঈদুল আজহার তৃতীয় দিনেও চরফ্যাশনের পর্যটন কেন্দ্র গুলোতে ভিড় জমিয়েছে হাজার হাজার দর্শনার্থীরা।
গত রবিবার ঈদুল আযাহার নামাজ এবং পশু কোরবানি শেষে বিকাল থেকেই বিনোদন কেন্দ্র গুলোতে পর্যটকদের আনাগোনা বাড়তে থাকে। মঙ্গলবার চরফ্যাশন উপজেলার জ্যাকব টাওয়ার,শেখ রাসেল শিশুপার্ক, ফ্যাসন স্কয়ার, বেতুয়া প্রশান্তিক পার্ক, খেজুরগাছিয়ার মিনি কক্সবাজার, খামার বাড়ি,দক্ষিণ আইচা নবী নগর রিসোর্ট সহ বিভিন্ন দর্শনীয় স্পটে ও রয়েছে পর্যটকদের সরব উপস্থিতি। ভোলার বিভিন্ন এলাকা থেকে পর্যটকরা ভীর জমিয়েছে এইসব বিনোদন স্পট গুলোতে।
বেতুয়া প্রশান্তিক পার্কে আসা কিছু পর্যটক স্পীড বোড যোগে সমুদ্রে আনন্দ উন্মাদনায় মেতে উঠতে দেখা গেছে। অন্যদিকে, পর্যটকদের জন্য মটর সাইকেল, বোরাক, নসিমন, মাইক্রোবাস, ট্রাক্টর গাড়ি যেন মুহুর্ত থেমে নাই এ প্রান্ত হতে ঐ প্রান্তে। কেউ আবার স্ব- পরিবার নিয়ে কেউ বা বন্ধু- বান্ধব নিয়েও আসছেন।
পর্যটন কেন্দ্র ঘুরতে আসা মো. প্রবাসী ইউসুফ জমাদার, আসমামা বেগম শিমু, দিলসাদ জাহান এ্যানি, মাজহারুল ইসলাম হৃদয়, সোহেল পসলোয়ান এবং হাসান লিটন, বলেন,তাদের কাছে চরফ্যাশন বলতে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের ভরপুর এই উজান ভাটির দেশটি যেন প্রকৃতির মায়াবী চাদরে ভালোবাসার এক নিবিড় আলিঙ্গন।
এদিকে বিনোদন স্পট গুলো ঈদের আগ থেকেই সাজগোজ করে রাখছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। ঠিক তেমনি প্রাকৃতিক লীলাময় যেন সমারোহ। পর্যটকদের ভিড়ে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে বিনোদন কেন্দ্র গুলোতে। পদ্মা সেতু চালুর ফলে আগের তুলনায় পর্যটকদের সংখ্যা অনেকটা বেড়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। আগতদের সার্বিক নিরাপত্তায় মাঠে কাজ করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
এএজে
