গোপালগঞ্জে এনসিপির সমাবেশ ঘিরে সংঘর্ষে নিহত ২


গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশ ঘিরে হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনায় দুজন নিহত হয়েছেন। নিহতরা হলেন- গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার থানাপাড়ার কামরুল কাজীর ছেলে রমজান কাজী (২২) এবং শহরের উদয়ন রোডের সন্তোষ সাহার ছেলে দীপ্ত সাহা (২৫)।
বুধবার বিকাল পৌনে ৫টার দিকে গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের একটি সূত্র জানায়, নিহতদের শরীরে গুলিবিদ্ধ ছিল।
গোপালগঞ্জে সমাবেশ শেষে ফিরে যাওয়ার পথে সড়ক অবরোধ করে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) গাড়িবহরে হামলা চালিয়েছেন আওয়ামী লীগ ও নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এতে রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে গোপালগঞ্জ শহর।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গোপালগঞ্জে ১৪৪ ধারা জারি করেছে প্রশাসন। বিকাল থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত জেলায় কারফিউ ঘোষণা করা হয়েছে।
বুধবার বিকাল ৩টার দিকে জেলা শহরের লঞ্চঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গেলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগ। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি।
এসময় অনেক পুলিশ ও সাংবাদিক অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে মাঠে নেমেছে সেনাবাহিনী। গোপালগঞ্জ থেকে অন্যান্য জেলায় যাওয়ার রুটগুলো গাছের গুঁড়ি ফেলে বন্ধ করে দিয়েছে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ।
আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছে। জানা যায়, এনসিপির নেতারা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে অবস্থান নিয়েছেন। সারা শহরের সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়েছে। গোপালগঞ্জে এনসিপির সমাবেশের মঞ্চের চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এর আগে সকালে পুলিশের একটি গাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। হামলা চালানো হয় ইউএনওর গাড়িবহরে।
জুলাই মাস জুড়ে জেলায় জেলায় পদযাত্রা করছে কেন্দ্রীয় এনসিপি। আজ তারা গোপালগঞ্জে লং মার্চ করেন, সমাবেশ করেন।
এইচকেআর
