বরিশালের চন্দ্রমোহনে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসে চিহ্নহীন সড়ক : দুশ্চিন্তায় শ্রমিকরা


বরিশাল সদর উপজেলার ১০ নং চন্দ্রমোহন ইউনিয়নের চন্দ্রমোহন গ্রামের নবনির্মিত একটি সড়ক ভেঙে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করে কয়েকশত পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে বলে জানা গেছে।
স্থানীয়রা জানান, ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে সৃষ্টি হওয়া জলোচ্ছ্বাস এলজিইডির ক্লাইমেট রেজিমেন্ট রুলার ইনফ্রা এস্ট্রাকচার প্রজেক্টের একটি সড়ক ভেঙে খালে পরিণত হয়েছে। তারা আরো জানান, গত ৮ মে সড়কের নির্মাণকাজ শেষ হয়।
সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরে একটি প্রজেক্টের মাধ্যমের ১১ লক্ষ ৭৪ হাজার টাকা ব্যয়ে আবদুল আজিজ খানের বাড়ি থেকে দুলাল আকন বাড়ি পর্যন্ত সড়ক নির্মাণের কথা থাকলেও বরাদ্দ দিয়ে আবদুল আজিজ খানের বাড়ি থেকে ৫৬০ মিটার মাটির সড়ক নির্মাণ করে বরিশাল এলজিইডি কর্তৃপক্ষ। চলতি বছরের ২৬ ফেব্র“য়ারি সড়কটি নির্মাণের কাজ শুরু হয়। সেই সড়কের এখন আর কোন চিহ্ন নেই বলেও দাবী স্থানীয়দের।
সরেজমিনে দেখা যায়, সড়কের কোন চিহ্নই নেই। স্থানীয়রা দাবী করেন এই রাস্ত্ দিয়ে প্রায় ৫শত পরিবার চলাচল করে, তাই সড়কটি আবারো সংস্কারের দাবী তাদের।
সড়ক প্রজেক্টের সভাপতি লিপি আক্তার জানান, আমরা এই প্রজেক্টের কাজ কিছু দিন পূর্বে শেষ করেছি। কিন্তু আমরা শ্রমিকরা এখনো পুরো বিলের টাকা পাই নি। আমাদের ফাইনাল বিল জমা দেয়া আছে। সরকারের প্রতি আমাদের দাবী আমাদের গরীব শ্রমিকদের টাকা যেন দেয়া হয়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক শ্রমিক জানান, এলসিএসের ইসলামী ব্যাংক চন্দ্রমোহন শাখার একাউন্টের মাধ্যমে আমাদের টাকা পরিশোধ হতো। আমরা এই প্রজেক্টের ৫ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা পেয়েছি।
কিন্তু সরকারের নিয়ম অনুযায়ী ৪ কিস্তিতে টাকা পরিশোধ হওয়ার কথা থাকলেও মাত্র ২ কিস্তির টাকা পেয়েছে বলেও জানান ওই শ্রমিক।
প্রজেক্টের সাধারণ সম্পাদক মাকসুদা বেগম জানান, দিন রাত পরিশ্রম করে এই সড়কটি নির্মাণ করেছি কিন্তু ঘূর্ণিঝড় ইয়াসে তার কি অবস্থা তা আপনারা দেখে যান। তিনি আরো জানান, আমরা এলসিএসের মাধ্যমে পুরো বিলের টাকা পাই
নাই। আমরা এখন দুশ্চিন্তায় পড়ে গেলাম। আমরা সরকারের কাছে আমাদের বিলের টাকা পাওয়ার আবেদন জানাই।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান একেএম আবদুল আজিজ হাওলাদার জানান, আসলেই আমার ইউনিয়নের গরীব মানুষ গুলো অনেক পরিশ্রম করে সড়কটি নির্মাঃণ করেছেন। আমিও সরকারের কাছে দাবী জানাচ্ছি তাদের বিল পরিশোধ করে আবারো ওই সড়কটি সংস্কারের।
এমবি
