ঢাকা রবিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩

Motobad news

‘হাত থেকে ভাত পড়ে যাওয়ায় জোড়া বেত দিয়ে পিটুনি’, মাদ্রাসাছাত্রের মৃত্যু

‘হাত থেকে ভাত পড়ে যাওয়ায় জোড়া বেত দিয়ে পিটুনি’, মাদ্রাসাছাত্রের মৃত্যু
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

কুমিল্লায় শিক্ষকের বেত্রাঘাতে মো. সিহাব (১৫) নামে এক মাদ্রাসাছাত্রের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (৫ আগস্ট) জেলার বরুড়া উপজেলার ঝলম ইউনিয়নের শশইয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত মো. সিহাব শশইয়া গ্রামের ডিলার বাড়ির শুকুর আলী ডিলারের ছেলে। অভিযুক্ত আব্দুর রব ঝলম ইউনিয়নের মেড্ডা আল মাতিনিয়া নুরানি মাদ্রাসার শিক্ষক। নিহত সিহাব ওই শিক্ষকের তত্ত্বাবধানে নুরানি শিক্ষা গ্রহণ করছিল।

শুক্রবার বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নিহত সিহাবের ভাবি সাবিকুন নাহার ঝুমুর। 

সিহাবের মা খালেদা বেগম জানান, আমার ছেলেকে যখন বাসায় আনা হয় তখন তার অনেক জ্বর ছিল। অনেক রাতে সিহাব আমাকে বলে হুজুর আমাকে বেত দিয়ে অনেক মেরেছে। আমার হাত থেকে ভাত পড়ে গেছে দেখে হুজুর আমাকে জোড়া বেত দিয়ে অনেক পিটিয়েছে। সিহাব মাকে বলে ওই দিন সারা রাত আমি ব্যথায় ঘুমাতে পারি নাই।

অসুস্থ অবস্থায় ১৫ বছরের মো. সিহাবকে শুক্রবার সকালে প্রথমে বরুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপে­ক্সে ও পরে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে বেলা ১টা ১২ মিনিটে তার মৃত্যু জানিয়েছেন বরুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল বাহার মজুমদার।

বেত্রাঘাতে ছাত্রের মৃত্যুর অভিযোগে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ওই শিক্ষককে আটক করা হয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় বাসা থেকে অভিযুক্ত শিক্ষককে আটক করে থানায় আনা হয়।

সিহাবের ভাবি সাবিকুন নাহার ঝুমুর বলেন, আমার দেবরকে কয়েক দিন আগে শিক্ষক আব্দুর রব বেত দিয়ে মারেন। এ সময় সিহাব অসুস্থ হয়ে পড়লে শিক্ষকরা তাকে ওষুধ এনে খাওয়ান। তাতেও সে সুস্থ না হওয়ায় বৃহস্পতিবার মাদ্রাসা থেকে ফোন করে সিহাবের অসুস্থতার খবর জানানো হয়।

মেড্ডা আল মাতিনিয়া মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা আহমেদ শফি বলেন, আমি সিহাবের পরিবারের সঙ্গে কথা বলছি।

কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মোখলেসুর রহমান জানান, সিহাবকে হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। ময়নাতদন্ত করলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

মরদেহ থানায় নেয়া হয়েছে জানিয়ে বরুড়া থানার ওসি ইকবাল বলেন, আমরা মরদেহের পিঠে আঘাতের চিহ্ন পেয়েছি। ওই শিক্ষককেও জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে এখনো কেউ অভিযোগ করতে আসেনি। অভিযোগ পেলে আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা নেব।

শনিবার সিহাবের ময়নাতদন্ত করা হবে বলে জানান তিনি।


এএজে
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন