জাতীয় পরিচয়পত্র কার্যক্রম নির্বাচন কমিশনের অধিনে রাখার দাবি


জাতীয় পরিচয়পত্র কার্যক্রম নির্বাচন কমিশনের অধিনে রেখে এনআইডি সেবা কিভাবে দ্রুত নিশ্চিত করা যায় সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহনের দাবি জানিয়েছেন বরিশালের আঞ্চলিক, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নির্বাচন অফিসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ।
এ লক্ষে শনিবার (২৯ মে) বরিশাল আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে পৃথক দুটি সেশনে জরুরী সভা করেছেন বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের অধীন্যাস্ত মাঠ পর্যায়ের এ কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। সভায় বরিশাল বিভাগের আঞ্চলিক, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নির্বাচন অফিসের কর্মকর্তা-কর্মাচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় বক্তারা বলেন, ২০০৭ সাল থেকে অদ্যবধি পর্যন্ত জাতীয় পরিচয়পত্র নির্বাচন কমিশনের অধীনে রয়েছে। ছবিসহ ভোটার তালিকার একটি অংশ স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র। জাতীয় পরিচয়পত্র সেবাটি আমরা সফলতার সহিত দীর্ঘদিন ধরে পালন করে আসছিলাম। কিন্তু হঠাৎ করে গত ১৭ মে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে একটি চিঠি জাড়ি করা হয়েছে যে, এটাকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ন্যাস্ত করার জন্য। যা নিয়ে আমরা খ্বুই মর্মাহত, ব্যথিত ও হতাশ হয়েছি।
বরিশালের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মোঃ আলাউদ্দীন বলেন, প্রতিবাদ নয় জরুরী সভা থেকে আমরা সকলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আকুল আবেদন জানাই যেন জাতীয় জাতীয় পরিচয়পত্রের চলমান সকল কার্যক্রম নির্বাচন কমিশনের কাছে যেভাবে আছে সেভাবেই থাকে।
তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ভোট ও জাতির জন্য একসময় আন্দোলন করেছিলেন। নির্বাচনকে ত্রুটিমুক্ত করার জন্য তারই আন্দোলনের ফসল ছবিসহ ভোটার তালিকা।
আর ভোটার তালিকার বাই প্রোডাক্ত হচ্ছে স্মার্ট জাতীয় পরিচয় পত্র। অবা, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করার জন্য যে ইলেকট্রিক ভোটিং মেশিন বা ইভিএম প্রকল্প রয়েছে, সেটাও কিন্তু মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ৪ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প। এ কাজটিও কিন্তু জাতীয় পরিচয়পত্র বেইজ, এটা যদি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ে চলে যায় তাহলে ইভিএম প্রকল্পটা মুখ থুবরে পরবে।
এইচকেআর
