ঢাকা বুধবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৫

Motobad news
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা স্ট্যান্ড রিলিজ 

মঠবাড়িয়ায় বিউিটিশিয়ান হত্যা মামলায় গ্রেফতার শিক্ষিকা বরখাস্ত 

মঠবাড়িয়ায় বিউিটিশিয়ান হত্যা মামলায় গ্রেফতার শিক্ষিকা বরখাস্ত 
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার চাঞ্চল্যকর বিউটিশিয়ান শাম্মী আক্তার হত্যা মামলায় জেল হাজতে থাকা স্কুল শিক্ষিকা আয়শা খানমকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে স্কুল পরিচালনা কমিটি। 

বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) বিকেলে পিরোজপুর-৩ (মঠবাড়িয়া) আসনের সাংসদ স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি ডা. রুস্তম আলী ফরাজীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জরুরী সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

এদিকে এ হত্যার ঘটনায় স্কুল শিক্ষিকা আয়শা খানম ও নিহতের বর্তমান স্বামী সিরাজুল সালেকিনের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ করেছে নিহত শাম্মীর আক্তরের ছেলে স্কুলছাত্র সায়েম আলমের সহপাঠিরা। 

অপরদিকে হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) মো. জেন্নাত আলীকে রহস্যজনক কারনে প্রত্যাহার করে পিরোজপুর পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার (৯ আগস্ট) রাতে পিরোজপুর পুলিশ সুপারের দপ্তর থেকে এ আদেশ দেয়া হয়েছে। জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাঈদুর রহমান জেন্নাত আলীর প্রত্যাহারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে কী কারণে তাঁকে প্রত্যাহার করা হয়েছে, তা তিনি বলেননি।

উল্লেখ্য- গত সোমবার (৮আগস্ট) দুপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে শাম্মী আক্তার (৪০) লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় ওই দিন রাতে নিহতের ছেলে (১৭) বাদি হয়ে তার সৎ বাবা শেখ সিরাজুস সালেকিন (৩৩) ও মামী স্কুল শিক্ষিকা আয়শা খানম (৫০) বিরুদ্ধে মামলা করে। আয়শা খানম লতীফ ইনস্টিটিউশনের শিক্ষক।

নারী উদ্যোক্তা শাম্মী আক্তার কেএম লতীফ সুপার মার্কেটে দ্বিতীয় তলায় দশবছর ধরে “শাম্মী বিউটি পার্লার” নামের একটি পার্লারের ব্যবসা করে আসছিল। প্রথম স্বামী ফিরাজ আলম এর সাথে প্রায় ১৩ বছর আগে বিচ্ছেদ হবার পর সেই সংসারের দুই সন্তান নিয়ে মঠবাািড়য়া পৌর শহরের থানা পাড়ায় এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন। দুই বছর আগে বিয়ে হওয়া দ্বিতীয় স্বামী সালেকিন ঢাকায় ব্যবসা করেন। 

রোববার (৭ আগস্ট) শাম্মী আক্তার ও সালেকিন এর বিবাহ বার্ষিকী উপলক্ষে সালেকিন ওই দিনই সকালে মঠবাড়িয়ার ওই বাসায় আসে। বিবাহ বার্ষিকী উপলক্ষে নিকট আত্মীয় শিক্ষিকা আয়শা খানমও ওই বাসায় আসে। বিবাহ বার্ষিকীর অনুষ্ঠান শেষে শাম্মী আক্তার স্বামী সালেকিনকে নিয়ে ঘরের পিছনের বারান্দায় ঘুমিয়ে পরে। শাম্মী আক্তারের ভাবী আয়শা খানম মাঝ ঘরের খাটে ঘুমায়। গভীর রাতে শাম্মী আক্তারের ঘুম ভেঙে গেলে ঘরের মাঝের খাটে স্বামী সালেকিন ও ভাবী আয়শা খানমকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ঝগড়ায় জড়িয়ে পরে। ঝগড়ার একপর্যায় স্বামী সালেকিন আয়শা খানমের সহযোগিতায় মুখে বালিশ চাঁপা দিয়ে শ্বাসসরোধে হত্যা করে।

মঠবাড়িয়া থানার ওসি মুহা. নূরুল ইসলাম বাদল বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার কথা স্বীকার করেছে। হত্যায় ব্যবহৃত বালিশটি জব্দ করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে মঙ্গলবার (৯ আগস্ট) দুপুরে আদলতে সোপর্দ করা হয়েছে। আগামী ১৬ আগস্ট বিজ্ঞ আদালত রিমান্ড শুনানীর দিন ধার্য করেছেন।


এইচকেআর
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন