হিজলায় পিতা-পুত্রের হত্যা মামলা নিয়ে গড়িমসি


বরিশালের হিজলা উপজেলায় পিতা-পুত্রের হত্যা মামলা নিয়ে পুলিশ প্রশাসনের গড়িমসির অভিযোগ উঠেছে।
গত ২৭ মে সকাল দশটার দিকে উপজেলার উত্তর শ্রীপুর গ্রামে টিবিসি নামক ইটভাটার ফেলে রাখা বৈদ্যুতিক তার জড়িয়ে পিতা-পুত্র তিনজন গুরুতর আহত হয়। আহতরা মোঃ কাশেম হাওলাদার (৫৫) তার ছেলে মোক্তার হোসেন (২৫) ও মোঃ মনির হোসেন (৩৫)
স্থানীয়রা তাৎক্ষণিক আহতদেরকে উদ্ধার করে হিজলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্মরত চিকিৎসক ডাক্তার মীর মাজহারুল ইসলাম রনি মোঃ কাশেম হাওলাদার ও তার ছেলে মোক্তার হোসেনকে মৃত ঘোষণা করেন।
আহত মনির হোসেন হিজলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।
শুরু থেকেই ইটভাটা মালিক সমিতির সভাপতি মিজানুর রহমান ঢালী ও ক্ষমতাসীন দলের এক প্রভাবশালী নেত ধামা চাপা দেয়ার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে।
২৮ মে নিহত কাশেম হাওলাদারের ছেলে মনির হোসেন বাদী হয়ে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করে পাঁচ দিন অতিবাহিত হলেও এখনো মামলা রুজু হয়নি হিজলা থানায়।
ঘটনার দিন থেকে টিবিসি ইটভাটার মালিক খোকন তালুকদার আত্মগোপনে। বিভিন্ন সূত্রে জানা যায় মোটা অংকের টাকার বিনিময় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার পায়তারা চালাচ্ছে। এমনকি ওই পরিবারকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি দিয়ে মাত্র সাড়ে তিন লক্ষ টাকার বিনিময় বাঁদিকে মামলা তুলে নেয়ার চাপ প্রয়োগ করে আসছে।
এ ব্যাপারে সরেজমিনে গেলে দেখা যায় টিবিসি ইটভাটায় এরই মধ্যে ৫ জনের প্রাণ হারায়।
এতে ইটভাটার মালিকের কালো টাকার বিনিময় কোন বেগ পেতে হয়নি।
সেখানেই শেষ নয় ওই ইটভাটার মালিক বারটি পরিবারকে উচ্ছেদ করে ইটভাটা নির্মাণ করেছে।
ইট ভাটার মধ্যে ছিল আটটি কবরস্থান তাও রক্ষা পায়নি।
বর্তমানে ইটভাটার মধ্যে রয়েছে
অসহায় হতদরিদ্র চারটি পরিবার যেকোনো মুহূর্তে তাদেরকেও ভিটেবাড়ি ছেড়ে চলে যেতে হতে পারে এমনটাই জানিয়েছেন স্থানীয় ভুক্তভোগীরা।
নিহত কাশেম হাওলাদারের ভাই রহমত আলী হাওলাদার জানান ১০ সদস্যের এই পরিবারটি একমাত্র উপার্জনকারী আমার ভাই কাশেম হাওলাদার ও ভাতিজা মোক্তার হোসেন তাদের মৃত্যুতে এই পরিবারটি নিঃস্ব হয়ে গেল। দেখাশুনা করার আর কেউ রইল না।
মোঃ আলাউদ্দিন কাজী, দুলাল গাজী, নুরে আলম মিজি ও পান্নু সহ এলাকার একাধিক ব্যক্তি ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান এই ইটভাটার মালিকের ক্ষমতা এতটাই এ পর্যন্ত পাঁচজনকে প্রাণ দিতে হলো এই জায়গা থেকে বারটি পরিবারকে উচ্ছেদ, ৮ টি কবর ভেঙে দেওয়া ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে অন্যের জায়গা দিয়ে রাস্তা নির্মাণসহ অনিয়মের শেষ নেই কিন্তু ইটভাটার মালিক কোন কিছু তোয়াক্কা না করে সাহসের সাথে ইটভাটা পরিচালনা করে আসছে।
ইটভাটার বাউন্ডারির মধ্যে থাকা ৪ টি পরিবারের মধ্যে আবুল হোসেন এর স্ত্রী মাকসুদা কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে বলে দীর্ঘ এক বছর যাবত ইটভাটার মালিক খোকন তালুকদার বাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়ার জন্য হুমকি প্রদান করে আসছে। কিন্তু মাকসুদা তা প্রত্যাখ্যান করে ইটভাটার মালিক কেশাভ জানিয়ে দিয়েছে মরন হলে এখানেই হবে তবে এই ভিটা ছেড়ে যাবো না।
হিজলা খানার অফিসার ইনচার্জ অসীম কুমার সিকদার হত্যার অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে বলে কাশেম হাওলাদারের স্ত্রী যদি বাদী হয় তাহলে মামলা নেয়া হবে সে থাকতে তার ছেলে বাদী হয় কি করে।
এমবি
