ইসলামি শিক্ষা না থাকলে মসজিদে নামাজ পড়বে কে, প্রশ্ন চরমোনাই পীরেরর


সরকার মসজিদ বানাচ্ছে। কিন্তু দেশে ইসলামি শিক্ষাব্যবস্থা না থাকলে এসব মসজিদে কে নামাজ পড়বে বলে প্রশ্ন রেখেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাই পীর সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম।
বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে সমাবেশে সরকারের কাছে এ প্রশ্ন করেন তিনি। শিক্ষার সবস্তরে ধর্মশিক্ষা বাধ্যতামূলক করার দাবিতে এই সমাবেশ ও গণমিছিল হয়।
এসময় চরমোনাইপীর বলেন, সরকার একদিকে দৃষ্টিনন্দন মসজিদ করছে, অন্যদিকে প্রথম শ্রেণি থেকে মাস্টার্স পর্যন্ত ধর্মীয় শিক্ষা পাবলিক পরীক্ষা থেকে বাদ দিয়ে জাতির সঙ্গে ধোঁকাবাজি করছে।
ইসলামবিদ্বেষীদের নীলনকশা বাস্তবায়নে ধর্মশিক্ষা বাদ দেওয়ার নীতি গ্রহণ করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, মসজিদ বানাচ্ছেন, এই মসজিদে নামাজ কারা পরবে, যদি ইসলামি শিক্ষাব্যবস্থা না থাকে।
ইসলামি শিক্ষা না থাকলে মসজিদে নামাজ পড়বে কে, প্রশ্ন চরমোনাই পিরের
সমাবেশ শেষে একটি মিছিল পল্টন মোড় ও জিরোপয়েন্ট হয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় দিকে গেলে পুলিশ এতে বাধা দেয়। এসময় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে ইসলামী আন্দোলনের নেতাদের হস্তক্ষেপে শান্ত হয়। পরে দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রিন্সিপাল সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল-মাদানীর নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল শিক্ষা সচিবের হাতে স্মারকলিপি হস্তান্তর করেন।
সমাবেশে চরমোনাইপীর বলেন, ৯২ ভাগ মুসলমানের দেশ বাংলাদেশ। এদেশে আজানের সূরে মানুষের ঘুম ভাঙে, আজানের আওয়াজে ছেলে-মেয়েরা ঘরে ফিরে যায়। এখানে ইসলাম নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে দেওয়া হবে না।
দলের কেন্দ্রীয় প্রচার ও দাওয়াহবিষয়ক সম্পাদক মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূমের পরিচালনায় আরও বক্তব্য দেন দলের মহাসচিব প্রিন্সিপাল মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, মুহাম্মদ আমিনুল ইসলাম ও ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম প্রমুখ।
এএজে
