ঢাকা মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫

Motobad news

বর্তমান সরকারের লক্ষ্য ঝুঁকিমুক্ত নৌরুট করা: এমপি শাওন

বর্তমান সরকারের লক্ষ্য ঝুঁকিমুক্ত নৌরুট করা: এমপি শাওন
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

ভোলার লালমোহনে কোকো লঞ্চ ট্রাজেডির ১৩ বছর পার হওয়া উপলক্ষ্যে মামলার রায় বাস্তবায়ন ও নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণের দাবিতে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

রবিবার দুপুরে লালমোহন প্রেসক্লাবের আয়োজনে প্রেসক্লাবের হলরুমে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভোলা-৩ আসনের সংসদ সদস্য নূরুন্নবী চৌধুরী শাওন। প্রধান অতিথি তাঁর  বক্তব্য বলেন, সাবেক বিএনপি সরকারের প্রধানমন্ত্রীর ছেলের লঞ্চ ছিল কোকো। ক্ষমতার দাপটে তাঁরা আইনের তোয়াক্কা না করে লঞ্চ ব্যবসা শুরু করে। যাত্রী হয়রানি অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে লঞ্চ চলাচল এবং সাধারণ নাগরিকদের নূন্যতম সুবিধা ছিল না লঞ্চগুলোতে। 

যাত্রী সাধারণ লঞ্চ কর্তৃপক্ষের কাছে ছিল জিম্মি। লঞ্চ ডুবির পর তাঁরা উদ্ধার তো করেই নাই। বরং যারা সেখানে সহায়তার জন্য এসেছিল তাদেরকে করেছে নানা নাজেহাল। তখনকার কোকো লঞ্চ ডুবির মামলাটি বর্তমানে কোন অবস্থায় রয়েছে তা জেনে দ্রæত মামলার রায় বাস্তবায়নের জন্য কাজ করা হবে।    

এমপি শাওন আরো বলেন, বর্তমান আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর এবং আমি এমপি হওয়ার পর আমার প্রধান লক্ষ্য ছিল লালমোহন-তজুমদ্দিনের সাথে ঝুঁকি মুক্ত নৌরুট চালু করা। এজন্য বিভিন্ন লঞ্চ মালিকদের সাথে আলোচনা করে বর্তমানে লালমোহন-তজুমদ্দিন উপজেলার সাথে চলছে বিলাস বহুল লঞ্চ। যাত্রী সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করা হচ্ছে। যাত্রীরা এখন নিরাপদে লঞ্চে যাতায়াত করতে পারছে। 

লালমোহন প্রেসক্লাবের সভাপতি অধ্যক্ষ মো. রুহুল আমিনের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক জসিম জনির সঞ্চালনায় এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ গিয়াস উদ্দিন আহমেদ, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ফকরুল আলম হাওলাদার, পৌরসভা আওয়ামীলীগের আহবায়ক শফিকুল ইসলাম বাদল, যুগ্ম আহবায়ক আনম শাহজামাল দুলাল, জেলা পরিষদের সদস্য আনোয়ারুল ইসলাম রিপন, বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আলহাজ¦ মোস্তফা মিয়া, লর্ডহাডিঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল কাশেম মিয়াসহ আরো অনেকে।   

উল্লেখ্য ২০০৯ সালের ২৬ নভেম্বর ঈদে ঘরমুখো অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে ঢাকা থেকে লালমোহনের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে এমবি কোকো-৪ লঞ্চটি। ভোরে লালমোহনের নাজিরপুর ঘাটে ভেড়ার আগেই ডুবে যায় লঞ্চটি। ওই সময় ৮১ জন মানুষ মারা যায় মধ্যে ৪৫ জনই ছিল লালমোহনের বাসিন্ধা। লঞ্চ ডুবির ১৩ বছরেও মামলার রায় বাস্তবায়ন হয়নি। নিহতদের পরিবার পায়নি এখন পর্যন্ত কোন ক্ষতিপূরণ।


এইচকেআর
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন