ঢাকা সোমবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৫

Motobad news
শিরোনাম
  • জামায়াতের নতুন আমিরের নাম জানা যাবে নভেম্বরেই আ’ লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টি ৫৪ বছর ক্ষমতা থেকে লুটপাট করেছে: ফয়জুল করিম আফগান সীমান্তে ভয়াবহ সংঘর্ষ, পাকিস্তানি পাঁচ সৈন্যসহ নিহত ৩০ উজিরপুরে একুশ দিনে ৩৫ লাখ টাকার জাল জব্দ, ১৮ জেলেকে কারাদণ্ড   নভেম্বরে শেষ হচ্ছে উপদেষ্টা পরিষদের সভা: তথ্য উপদেষ্টা দল নিবন্ধন ও ‘শাপলা’ প্রতীক নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এ সপ্তাহেই তফসিলের আগে সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে ইসির বৈঠক ৩০ অক্টোবর ‘শিগগিরই’ জুলাই সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশ দেবে ঐকমত্য কমিশন ভোলায় উচ্ছেদ অভিযানে হামলা, পৌরসভার ৩ গাড়িতে আগুন চট্টগ্রামে প্রতিপক্ষের গুলিতে যুবদল কর্মী নিহত
  • মিরাজ-মোস্তাফিজ বীরত্ব, সিরিজ বাংলাদেশের

    মিরাজ-মোস্তাফিজ বীরত্ব, সিরিজ বাংলাদেশের
    গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

    মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের করা ৪৯তম ওভারে দুবার ক্যাচ দিয়েছেন ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মা। কিন্তু এবাদত হোসেন এবং এনামুল হক বিজয় সেই ক্যাচ ধরতে পারেনি। শেষ পর্যন্ত মোস্তাফিজুর রহমানের করা ৫০তম ওভারের বুদ্ধিদীপ্ত বোলিংয়ে ৫ রানের জয় পায় বাংলাদেশ।

    ফলে তিন ম্যাচের সিরিজে ২-০ তে এগিয়ে থেকে সিরিজ নিশ্চিত করল টাইগাররা। ভারতের বিপক্ষে এটি বাংলাদেশের দ্বিতীয় ওয়ানডে সিরিজ জয়।

    এর আগে ১৯ ওভারে ৬৯ রানে ৬ উইকেট। ভারতীয় পেসারদের গতির মুখে চরম ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। কে ভেবেছিল দুর্দান্তভাবে ঘুরে দাঁড়াবে বাংলাদেশ? সবাইকে অবাক করে দলকে খাদের কিনারা থেকে টেনে তুললেন মেহেদী হাসান মিরাজ ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। পরের ৩১ ওভারে স্কোর বোর্ডে যোগ করে ২০২ রান।

    এ নিয়ে ভারতের বিপক্ষে টানা দ্বিতীয় সিরিজ জিতল বাংলাদেশ। সর্বশেষ ২০১৫ সালে ঘরের মাঠে মহেন্দ্র সিং ধোনীর ভারতের বিপক্ষে দ্বিপক্ষীয় সিরিজটি টাইগাররা জিতেছিল ২-১ ব্যবধানে। এবার রোহিত-কোহলিদের ধবলধোলাইয়ের সুযোগ পাচ্ছে বাংলাদেশ। আগামী ১০ ডিসেম্বর চট্টগ্রামে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে মুখোমুখি হবে দুদল।

    টাইগারদের চ্যালেঞ্জিং স্কোরের সবচেয়ে বড় অবদান ক্যারিয়ারে প্রথমবার সেঞ্চুরির স্বাদ পাওয়া মেহেদী হাসান মিরাজের। কম যাননি অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও। ধ্বংসস্তূপের মাঝে দাঁড়িয়ে ১৪৮ রানের জুটি গড়েন মিরাজ ও মাহমুদউল্লাহ।

    ভারতের বিপক্ষে যে কোনো উইকেটে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রানের জুটি। প্রথম ম্যাচে ধীরগতির ব্যাটিংয়ে প্রবল সমালোচনার শিকার মাহমুদউল্লাহ খেলেন ৯৬ বলে ৭৭ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস।

    অপরাজিত থেকে ইংনিস শেষ করেন মিরাজ। রিয়াদকে নিয়ে দলকে খাদের কিনারা থেকে তুলে আনার পর, চোখ ধাঁধানো শটে দ্রুত রান তুলে সময়ের দাবি মেটান। ইনিংসের শেষ বলে এক রান নিয়ে ৮৩ বলে পূরণ করেন ক্যারিয়ারের প্রথম শতক।

    ওয়ানডে ক্রিকেট ইতিহাসের দ্বিতীয় ক্রিকেটার হিসেবে ৮ নম্বরে ব্যাট করতে নেমে শতকের দেখা পেলেন মিরাজ। এর আগের শতকটি ছিল আয়ারল্যান্ডের সিমি সিংয়ের। গত বছর দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে এই ইনিংসটি খেলেন আইরিশ অলরাউন্ডার। শেষদিকে বাংলাদেশের ইনিংসকে আরও সমৃদ্ধ করে মিরাজ ও নাসুম আহমেদের ২৩ বলে ৫৪ রানের জুটি।

    অথচ আজ বুধবার মিরপুরে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ভারতীয় দুই পেসার মোহাম্মদ সিরাজ ও উমরান মালিকের তোপের মুখে পড়ে বাংলাদেশের ব্যাটাররা। ভেঙে পড়ে টপ ও মিডল অর্ডার। ওপেনিং জুটিতে পরিবর্তন এনে কোনো লাভ হয়নি। অধিনায়ক লিটন দাসের সঙ্গে ইনিংস শুরু করা এনামুক হক বিজয়কে (১১) ফেরান মোহাম্মদ সিরাজ।

    বলের লাইন মিস করে বোল্ড হন লিটন (৭)। আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে খেলছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। কিন্তু উমরান মালিকের গতিতে উড়ে যায় তার স্টাম্প। বাংলাদেশের মিডল অর্ডার গুঁড়িয়ে দেন ওয়াশিংটন সুন্দর। ১২ বল ব্যবধানে ডানহাতি এই অফ স্পিনারের শিকার হন সাকিব আল হাসান (৮), মুশফিকুর রহিম (১২) এবং আফিফ হোসেন (০)।

    সেখান থেকে শুরু হয় মাহমুদউল্লাহ ও মিরাজের সংগ্রাম। প্রথম ওয়ানডের নায়ক মিরাজ ছিলেন বেশ সাবলীল। ধীরে ধীরে দুজনে গড়ে তোলেন কার্যকর এক জুটি। এই জুটির অর্ধশতক আসে ৬৩ বলে।

    ওয়ানডে ক্যারিয়ারে তৃতীয় অর্ধশতক তুলতে মিরাজ খেলেন ৫৫ বল। আর ৭৪ বলে আসে মাহমুদউল্লাহার অর্ধশতক। ৪৬ ওভারে ভাঙে সেই জুটি। শেষ দিকে জ্বলে ওঠে নাসুম আহমেদের ব্যাটও।

    ম্যাচের শুরুতে হাতের আঙুলে চোট পাওয়া রোহিতের পরিবর্তে ওপেন করতে নামেন বিরাট কোহলি। তার সঙ্গী হিসেবে ছিলেন শিখর ধাওয়ান। ইংনিসের দ্বিতীয় ওভারে এবাদত হোসেনের শিকার হন কোহলি।

    ব্যক্তিগত ৫ রানে ডানহাতি এই পেসারের বলে বোল্ড হন কোহলি। পরের ওভারে মোস্তাফিজুর রহমানের শিকার হন শিখর ধাওয়ান (৫)। সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতেও বোলিংয়ে এসে উইকেট পেয়েছিলেন সাকিব।

    এই ম্যাচেও একই কীর্তি গড়েন তিনি। তার প্রথম ওভারে সাজঘরে ফেরেন ওয়াশিংটন সুন্দর (১১)। মিরাজের এলবির ফাঁদে পড়েন লোকেশ রাহুল।

    তবে শ্রেয়াস আইয়ার এবং অক্ষর প্যাটেলের ব্যাটে লড়াইয়ে ফিরে ভারত। এরই মধ্যে ১০৭ রানের জুটি গড়েন দুই ব্যাটার। আইয়ারকে (৮২) ফিরিয়ে ১০৭ রানের জুটি ভাঙেন মিরাজ। আর অক্ষরকে (৫৬) সাজঘরের পথ দেখান এবাদত হোসেন।

    শেষদিকে ভারতের আশার প্রদীপ জ্বালিয়ে ছিলেন অধিনায়ক রোহিত শর্মা। তবে ৪৭ ওভারে মোস্তাফিজের মেডেন ওভারে কিছুটা পিছিয়ে পড়ে সফরকারীরা।


    এএজে
    গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

    সর্বশেষ