ঢাকা সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫

Motobad news

চরফ্যাসনে জোয়ারের পানিতে তরমুজ চাষীদের সর্বনাশ

চরফ্যাসনে জোয়ারের পানিতে তরমুজ চাষীদের সর্বনাশ
জোয়ারের লবনাক্ত পানিতে পঁচে যাওয়া তরমুজ হাতে চাষী খোকন মাঝি
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

ভোলা জেলার চরফ্যাসন উপজেলার শশিভূষণ থানার চরকলমি ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের কৃষক খোকন মাঝি এ বছর ১৬ একর জমিতে ১৮ লাখ টাকা ব্যয়ে তরমুজ চাষ করেছেন।

পূর্ণিমার অস্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে বুধবার (১লা এপ্রিল) প্লাবিত হয়ে লবন পানিতে তলিয়ে গেছে তার ফসল। 

বুধবার খোকন মাঝি জানান, এখন সময় ফসল বিক্রি করার কথা বার্তা চলছিল ঠিক তার পূর্ব মুহূর্তে জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়ে সব তরমুজ গাছ মরে গেছে। ১৬ একর জমির মধ্যে সামান্য কিছু তরমুজ বিক্রি করতে পারলেও বাকি তরমুজ জমিতে রয়ে গেছে।

তিনি আরও জানান হঠাৎ জোয়ারের পানিতে নষ্ট হয়ে গেছে ও লকডাউনের কারণে বিক্রি করা সম্ভব হয়নি এবং জোয়ারের পানি আর না আসলেও লবণাক্ততা থাকায় পানি চলে যাওয়ার পরও তরমুজ গাছ মরে যাবে বলে তিনি জানান। 

বুধবার থেকে চরফ্যাসন উপজেলায় পূর্ণিমার প্রভাবে জোয়ারে পানির উচ্চতা বাড়ছে। ২৪ ঘণ্টায় দু'বার জোয়ার হচ্ছে। প্রতিবার জোয়ারে অন্তত ৮/১০ ঘণ্টা নিম্নাঞ্চল প্লাবিত থাকে। 

ফলে চরফ্যাসন উপজেলার শশিভূষণ থানার চর কলমি ইউনিয়নের কিছু জায়গায় বেড়িবাঁধ না থাকায় বিস্তীর্ণ এলাকা তিন-চার ফুট পানির নিচে তলিয়ে যায়। কোথাও কোথাও পানির উচ্চতা আরও বাড়ছে। এতে তরমুজের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

চর কলমি ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের ব্যবসায়ী মো.তোফাজ্জল বলেন, জোয়ারে পানিতে প্লাবিত এসব এলাকার বহু কৃষক আদৌ কোনো ফসল ঘরে তুলতে পারবে কিনা এ নিয়ে শঙ্কা রয়েছে। এরমধ্যে তরমুজের ক্ষতি হয়েছে সবচেয়ে বেশি। অনেক জায়গায় তরমুজ চাষিদের ডুবে যাওয়া খেত থেকে ফসল বাঁচানোর ব্যর্থ চেষ্টা করতে দেখা গেছে। আবার অনেক কৃষকদের লোকসান গুণে হতাশা করতে দেখা গেছে।

চরফ্যাসন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো.আবু হাচনাইন জানান, জোয়ারের পানিতে তরমুজের ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের আর্থিকসহ অন্যান্য সহায়তা দেয়ার জন্য তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। যা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছানো হবে। এছাড়াও কয়েকদিনের মধ্যে জোয়ারে পানির চাপ কমে আসবে বলেও জানান তিনি।
 


এসএমএইচ
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন