ঢাকা শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

Motobad news

শেবাচিম ক্যাম্পাসে নিম্নমানের সড়ক সংস্কার কাজ বন্ধ করে দিলেন মেয়র

শেবাচিম ক্যাম্পাসে নিম্নমানের সড়ক সংস্কার কাজ বন্ধ করে দিলেন মেয়র
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল চত্বরে গণপূর্ত বিভাগের দুর্নীতিবাজ ঠিকাদারদের দুর্গে হানা দিয়েছেন বরিশাল সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ। অনিয়ম এবং দুর্নীতির মাধ্যমে নির্মাণাধীন সড়ক নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন তিনি। সেই সাথে রোগী, চিকিৎসক, নার্স এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ভোগান্তি লাঘবে হাসপাতাল চত্বরের ওই রাস্তাটি নিজ উদ্যোগে মেরামত করে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন সিটি মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ।

হাসপাতালের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, ‘দীর্ঘ বছর ধরেই হাসপাতাল চত্বরে গণপূর্তের উন্নয়ন কাজের নামে লুটপাট করে আসছিল কিছু ঠিকাদার চক্র। তারা নানা কৌশলে গণপূর্তের কর্মকর্তাদের সাথে আঁতাত করে উন্নয়নের নামে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।
ঠিক তেমনিভাবে গত কয়েক দিন ধরে হাসপাতালের অভ্যন্তরে জরুরি বিভাগের গেট থেকে শুরু করে মেডিকেল কলেজের পেছনের গেট এবং তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী কোয়ার্টার পর্যন্ত সড়ক সংস্কার কাজ শুরু করেন মজিবর রহমান ওরফে মজিবর মাস্টার নামের একজন ঠিকাদার। কোন প্রকার দরপত্র ছাড়াই তিনি নিম্নমানের ইট, সুরকি দিয়ে সড়ক সংস্কারের নামে সরকারি অর্থ লুটপাটের পাঁয়তারা করছিলেন।

খবর পেয়ে রোববার ঘটনাস্থলে ছুটে যান বরিশাল সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ। তিনি সেখানে গিয়ে অভিযোগের সত্যতাও পান। এজন্য তাৎক্ষণিক সড়ক সংস্কার কাজ বন্ধ করে দেন মেয়র।

রোববার তারুণ্যের প্রদীপ ই-মেইল থেকে পাঠানো এক ছবি এবং বার্তায় জানানো হয়েছে, শেবাচিম হাসপাতালের জরুরি বিভাগ থেকে মেডিকেল কলেজ লেন পর্যন্ত সড়ক সংস্কার কাজ চলাকালে সেখানে পরিদর্শনে যান মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ। এসময় গণপূর্ত বিভাগের কাজ মানসম্পন্ন না হওয়ায় তাৎক্ষণিক কাজ বন্ধ করে দেন তিনি। পাশাপাশি পরবর্তীতে ওই রাস্তার সংস্কার বরিশাল সিটি কর্পোরেশন করবে বলে সিদ্ধান্ত জানান মেয়র।

এ প্রসঙ্গে গণপূর্ত মেডিকেল উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী হাদিসুর রহমান বলেন, ‘কাজে কোন অনিয়ম কিংবা দুর্নীতি হয়নি। ওই রাস্তা সংস্কারের জন্য কোন বরাদ্দ নেই। তাই মেডিকেল কলেজ অধ্যক্ষ এবং হাসপাতাল পরিচালকের অনুরোধে কোন টেন্ডার ছাড়াই একজন ঠিকাদারকে মৌখিকভাবে বলে সংস্কার করা হচ্ছিল। তবে স্থায়ী সংস্কার নয়, বরং সেখানে উচ্ছিষ্ট নির্মাণ সামগ্রী ফেলে গর্তগুলো ভরাট করতে বলা হয়েছে মজিবর মাস্টার নামের ওই ঠিকাদারকে। এজন্য তাকে কোন বরাদ্দও দেয়া হয়নি।

তিনি বলেন, ‘মেয়র মহোদয় নির্মাণ কাজ পরিদর্শনে এসে ওই কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, সিটি কর্পোরেশনের মাধ্যমে ওই রাস্তা সংস্কার করে দিবেন। তার পরিদর্শনের খবর পেয়ে আমাদের নির্বাহী প্রকৌশলী স্যারও এসেছিলেন। তবে দুর্নীতি কিংবা অনিয়মের কিছুই এখানে হয়নি বলে দাবি করেন তিনি।


এমবি
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন