ঢাকা শুক্রবার, ১৫ অগাস্ট ২০২৫

Motobad news
শিরোনাম

ঘুস নেওয়ার অভিযোগে দুদকের দুই কর্মকর্তা বরখাস্ত

ঘুস নেওয়ার অভিযোগে দুদকের দুই কর্মকর্তা বরখাস্ত
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

ঘুস নেওয়ার অভিযোগে সহকারী পরিচালক ও উপ-সহকারী পরিচালক পদমর্যাদার দুই কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বরখাস্ত কর্মকর্তারা হলেন, সহকারী পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান ও উপ-সহকারী পরিচালক সুদীপ কুমার চৌধুরী। বৃহস্পতিবার দুদক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহর সই করা আদেশ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

এর আগে গত ১২ জুলাই ঘুস ও দুর্নীতির অভিযোগে দুদকের দুই কর্মকর্তাকে নিজ কর্মস্থল থেকে প্রত্যাহার করা হয়। তাদের যশোর ও কুড়িগ্রাম থেকে প্রত্যাহার করে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে বদলি করা হয়। বদলি করা ওই দুই কর্মকর্তাকে ১৩ জুলাইয়ের মধ্যে অবমুক্ত হওয়ার নির্দশনা দেওয়া হয়েছিল। জানা যায়, দুদকের দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঘুস গ্রহণের অভিযোগ ওঠার পর বিভাগীয় তদন্ত চলমান ছিল। সম্প্রতি  দুদকের সমন্বিত পাবনা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে ঘুস নেওয়ার অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ সংক্রান্ত একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, একটি বেসরকারি ব্যাংক থেকে ঋণের নামে চার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে এক ব্যবসায়ীসহ ব্যাংক কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের দায়িত্ব পান দুদক কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর। অভিযোগ থেকে অব্যাহতি আশ্বাস দিয়ে হক টেক্সটাইলসের মালিক ব্যবসায়ী শামসুল হকের কাছে ২০ লাখ টাকা ঘুস দাবি করেন তিনি। কয়েক দফায় ৭৬ হাজার টাকা গ্রহণ করেন এ কর্মকর্তা। এ ঘটনার পর মোস্তাফিজুর রহমানকে পাবনা থেকে দুদকের যশোর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে বদলি করা হয়। অন্যদিক, এক পুলিশ কর্মকর্তাকে মামলার ভয় দেখিয়ে সাড়ে পাঁচ লাখ টাকা ঘুস নেওয়ার অভিযোগ ওঠে দুদকের বগুড়া সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক সুদীপ কুমার চৌধুরীর বিরুদ্ধে।

গত ৯ এপ্রিল সংবাদ সম্মেলনে ওই পুলিশ কর্মকর্তার বোন রুমাইয়া শিরিন দাবি করেন- তার ভাই আলমগীর হোসেন বগুড়া জেলা পুলিশে গোয়েন্দা বিভাগের উপপরিদর্শক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। আলমগীরের বিরুদ্ধে এক নোটিশের মাধ্যমে সম্পদ বিবরণী দাখিল করতে বলা হয়। এরপর তিনি সম্পদের বিবরণী দাখিল করেন। সম্পদ বিবরণী যাচাইয়ের দায়িত্ব পান ডিএডি সুদীপ কুমার চৌধুরী। 
এরপর তিনি মামলার ভয় দেখিয়ে সাত লাখ টাকা ঘুস দাবি করেন। ভয়ে তিনি পাঁচ লাখ ৮০ হাজার টাকা ঘুস দিলেও এতে সন্তুষ্ট না হয়ে মামলা করেন দুদক কর্মকর্তা। সুদীপ কুমার চৌধুরী নিজে বাদী হয়ে মামলা করার পর নিজেই সেই তদন্ত কর্মকর্তা নিযুক্ত হয়ে আবার আগের টাকা দাবি করেন। ওই ঘুস দাবির অডিও রেকর্ডসহ সুদীপ কুমার চৌধুরীর বিরুদ্ধে দুদক চেয়ারম্যান বরাবর একটি অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।
 


এইচকেআর
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

সর্বশেষ