বরগুনায় বিদ্যালয়ে শিবিরের গোপন বৈঠক, আটক ৬


বরগুনার ক্লাশ রুমে গোপন বৈঠক চলাকালে শিবিরের বামনা উপজেলা সভাপতিসহ ৬ কর্মীকে গ্রেফতার করেছে বামনা থানা পুলিশ। রোববার রাতে বামনা উপজেলার ছোনবুনিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্লাসরুম থেকে তাদের আটক করা হয়। এসময় সেখান থেকে বিপুল পরিমান বই ও ক্রেস্ট জব্দ করা হয়েছে।
আটককৃতরা হলেন বামনা উপজেলা ইসলামী ছাত্রশিবির সভাপতি ছোনবুনিয়া গ্রামের ইসাহাক হাওলাদারের ছেলে মো. হাসিবুর রহমান (২০), পাথরঘাটা উপজেলার কাঠালতলী গ্রামের মতিউর রহমান হাওলাদারের ছেলে মো. হাসিবুর রহমান (২২), একই উপজেলার নাচনাপড়া গ্রামের আবুল কালাম আজাদ এর ছেলে সাইফুল ইসলাম (২০), বামনা উপজেলার ঘোলাঘাটা গ্রামের চান মিয়া হাওলাদারের ছেলে ইসা আলম (২৩), পাথরঘাটার মানিকখালি গ্রামের আ. বারেক সরদারের ছেলে মো. সুমন সরদার (২৩) ও একই উপজেলার তালুকের চরদুয়ানী গ্রামের মো. হেমায়েত উদ্দিনের ছেলে আশ্রাফুল ইসলাম (২৩)। এদের সাথে আরও অজ্ঞাতনামা ২০-৩০ জন ছিলো বলে জানায় পুলিশ।
আজ সোমবার(২৮ আগষ্ট) সকালে গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে নাশকতার অভিযোগ এনে মামলা নিয়ে বরগুনা কোর্টে পাঠানো হয়েছে।
জানা গেছে, উপজেলার বিভিন্ন স্কুল ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের সম্মাননা প্রদান করার কথা বলে তাদেরকে ছোনবুনিয়া গ্রামের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আসতে বলে সামাজিক সংগঠনের নামের আড়ালে কয়েকজন শিবির কর্মী।
রোববার বিকাল থেকে সেখানে শিবির কর্মীদের উপস্থিতি টের পেয়ে স্থানীয়রা বিষয়টি বামনা থানা পুলিশকে জানায়। পরে পুলিশ এসে গোপন বৈঠক চলাকালীন সময় তাদেরকে আটক করেন। এসময় ওই বৈঠক থেকে বিভিন্ন ধরনের জিহাদী বই ও সম্মাননা ক্রেস্ট জব্দ করে পুলিশ।
সম্মাননা নিতে আসা শিক্ষার্থী জাফ্রাখালী গ্রামের জাহিদ হাসানসহ অনেকেই জানান, তাদের বামনা আলোকিত সমাজের পক্ষে সম্মাননা প্রদান করা হবে এই বলে এই স্কুলে সন্ধ্যার দিকে আসতে বলা হয়। তারা এসে দেখেন তাদের যে ক্রেস্ট প্রদান করা হবে তাতে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র শিবির এর লোগো ও নাম লেখা রয়েছে।
যেসকল শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন তারা অনেকেই না জেনে এখানে এসেছেন। এদিকে গ্রেফতার হওয়া ওই ৬ শিবির কর্মী প্রথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা শিবিরের সক্রিয় কর্মী বলে দাবি করেছেন।
এ ব্যাপারে বামনা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মাইনুল হোসেন বলেন, আমরা গোপনে সংবাদ পেয়েছি বামনার ছোনবুনিয়ায় কিছু শিবির কর্মী গোপন বৈঠকে মিলিত হয়েছে। আমরা তাৎক্ষনিক ফোর্স পাঠিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসি। এসময় তাদের কাছ থেকে জিহাদী বই উদ্ধার করি।
এইচকেআর
