ঢাকা মঙ্গলবার, ১২ অগাস্ট ২০২৫

Motobad news

বিশ্বকে বলার মতো উন্নয়নের গল্প বাংলাদেশের আছে: ভারতীয় হাইকমিশনার

বিশ্বকে বলার মতো উন্নয়নের গল্প বাংলাদেশের আছে: ভারতীয় হাইকমিশনার
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মা বলেছেন, বিশ্বকে বলার মতো উন্নয়নের গল্প বাংলাদেশের আছে। গত এক যুগেরও বেশি সময়ে বাংলাদেশে যে উন্নয়ন হয়েছে, জি-২০ সম্মেলনে অংশ নিয়ে তা অবশ্যই বিশ্বকে বলার মতো।

বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) সকালে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ‘রোড টু জি২০: ঢাকা টু নয়াদিল্লি' শীর্ষক সেমিনারে তিনি বক্তৃতা করেন।

প্রণয় কুমার ভার্মা বলেন, ‘২০৩১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ একটি উচ্চ-মধ্যম আয়ের ও ২০৪১ সালে একটি উন্নত দেশে রূপান্তরিত হতে চায়। ভারতও ২০৪৭ সাল নাগাদ উন্নত দেশে উত্তীর্ণ হতে চায়। কাজেই প্রাকৃতিকভাবেই আমাদের সহযোগিতা নতুন দিগন্তে সম্প্রসারিত হবে। এই সহযোগিতা কেবল দ্বিপাক্ষিকভাবেই গুরুত্বপূর্ণ নয়, বৈশ্বিক আলোচনা যে অন্তর্ভুক্তিতা, সহনশীলতা ও স্থায়িত্বের দিকে যাচ্ছে, সে ক্ষেত্রে এটি তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’

ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী ও বিশেষ বন্ধু হিসেবে সক্রিয়ভাবে জি-২০ সম্মেলনে অংশগ্রহণ ও সেখানকার আলোচনা সমৃদ্ধ করার জন্য বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানান তিনি।

ভারতীয় হাইকমিশনার বলেন, ‘আগামী নয় দিনের মধ্যে নয়াদিল্লিতে ১৮তম জি-২০ সম্মেলনের আয়োজন করেছে ভারত। সেখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেও স্বাগত জানাতে আমরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি। এই সম্মেলনে অতিথি দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও অংশীদারিত্বেরই প্রতিফলন ঘটেছে। পাশাপাশি এটি আমাদের দৃঢ় প্রত্যয় যে, জি-২০ সম্মেলনে বিশ্বকে বলার মতো উন্নয়নের গল্প বাংলাদেশের আছে। বাংলাদেশের অংশগ্রহণ জি-২০ সম্মেলনকেও সমৃদ্ধ করবে।
 

প্রণয় কুমার ভার্মা বলেন, ভারতের জি-২০ সম্মেললেনর থিমের অর্থ হলো: ‌‌‘সারা বিশ্ব একটি পরিবার’। এর মধ্য দিয়ে সর্বজনীনতাবাদে আমাদের প্রাচীন দর্শনেরই প্রতিফলন ঘটেছে। জি-২০ সম্মেলনে আমাদের সম্মেলনের যে মূলমন্ত্র—‘একটি বিশ্ব, একটি পরিবার ও একটি ভবিষ্যৎ’—সেই বিষয়টিকেই আমরা তুলে ধরতে চেয়েছি। এতে মানবতার পারস্পরিক সংযুক্ততার গুরুত্ব ফুটে উঠেছে। এই সংযুক্ততার ফলে আমরা যে প্রতিকূলতার মুখোমুখি, তার সমাধান ও আমাদের ভবিষ্যৎ সমৃদ্ধির বিষয়টিও সামনে চলে এসেছে। এ ছাড়াও আমাদের মতৈক্যের ভাবনাও সঞ্চারিত হয় এই থিমের মধ্য দিয়ে।
 

তিনি বলেন, এমন এক সময়ে ভারত জি-২০-এর সভাপতিত্ব গ্রহণ করে, যখন করোনা মহামারি থেকে বিশ্ব পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করছে। এ ছাড়াও সাপ্লাই চেইন সমস্যা, জলবায়ুর বৈরী প্রভাব, মূল্যস্ফীতি, আসন্ন ঋণসংকট, খাদ্য ও জ্বালানির নিরাপত্তা, ভূরাজনৈতিক অনিশ্চয়তাসহ নানা প্রতিকূলতার মুখোমুখি বিশ্ব। এতে বৈশ্বিক অর্থনীতির গতি কমে যায় ও বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতেও অনিশ্চয়তা তৈরি করে। কিন্তু এসবের মধ্যেও জি-২০-এর সভাপতিত্ব গ্রহণ এজেন্ডা নির্ধারণে ও কঠিন সময়ে সামগ্রিক কল্যাণের চেষ্টায় নেতৃত্ব দেয়ার ক্ষেত্রে আমাদের সক্ষমতারই স্বীকৃতি। এটা আমাদের নেতৃত্বে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আস্থারও প্রতিফলন।’

 


আরজেএন
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন