ঢাকা শুক্রবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৩

Motobad news

নতুন মডেলে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সংকট নিরসন চায় আইএমএফ

নতুন মডেলে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সংকট নিরসন চায় আইএমএফ
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গতিশীলতা বাড়াতে ব্যাংক, রাজস্ব ও পুঁজিবাজারের মোট ৪৭টি সংস্কার প্রস্তাবের পর এবার নতুন করে অর্থনৈতিক ভবিষ্যদ্বাণী মডেল প্রস্তুত করতে আগ্রহ দেখিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)।

দাতা সংস্থাটি মনে করে, নতুন মডেলের মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সংকট নিরসন হবে। এতে দেশের অর্থনৈতিক ক্ষতিও কমে আসবে। একই সঙ্গে অর্থনীতি হবে শক্তিশালী এবং তা নতুন গতি পাবে।

বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারের সঙ্গে এক বৈঠকে অংশ নিয়ে আইএমএফের ঢাকা সফররত চার সদস্যের কারিগরি সহায়তা (টিএ) বিষয়ক প্রতিনিধিদল এ প্রস্তাব তুলে ধরে।

বৈঠকে অর্থনৈতিক ভবিষ্যদ্বাণী মডেল প্রস্তুতের প্রস্তাবের অংশ হিসেবে প্রতিনিধিদল আইএমএফের পক্ষ থেকে ‘ইকোনমিক মডেল ফরকাস্টিং’ শীর্ষক একটি প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করে।

এসময় গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার আইএমএফের এ প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, দেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে এমন যে কোনো প্রস্তাব বাস্তবায়নে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।

বৈঠকের বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. মেজবাউল হক বলেন, আইএমএফের কারিগরি কমিটির সঙ্গে বৈঠকে অর্থনৈতিক ফরকাস্টিং মডেলসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে আলোচনা হয়। গভর্নর তাদের প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়েছেন।

বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি সূত্র জানিয়েছে, আইএমএফের উদ্দেশ্য হলো সম্ভাব্য এক্সটেনডেড ক্রেডিট ফ্যাসিলিটি ও এক্সটেনডেড ফান্ড ফ্যাসিলিটি প্রোগ্রাম। নতুন তৈরি রেজিলিয়েন্স অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটি ফ্যাসিলিটির (আরএসএফ) অধীনে ভবিষ্যতে কীভাবে অর্থনীতিকে শক্তিশালী করা যায় আগাম ভবিষ্যদ্বাণী মডেলের মাধ্যমে তারই সতর্কতামূলক নীতিমালা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন। যা ভবিষ্যতে অর্থনৈতিক ক্ষতি কমিয়ে আনবে। পাশাপাশি বাংলাদেশের অর্থনীতিকে করবে বেগবান। এতে সামষ্টিক অর্থনীতি টেকসই হবে এবং সংকট দূরীকরণে অগ্রণী ভূমিকা রাখবে।

গত ১৮ জুন ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসের জন্য মুদ্রানীতি ঘোষণা করে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে নীতি সুদহারের করিডোর প্রথা, সুদহারের সীমা প্রত্যাহার ও রিজার্ভের প্রকৃত হিসাবায়নসহ নানা বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।


এর আগে গত বছরের জুলাই মাসে আইএমএফের কাছে ঋণের আবেদন করে সরকার। ঋণের শর্ত হিসেবে দাতা সংস্থাটি তখন ৪৭টি সংস্কার প্রস্তাব দেয়। এসব প্রস্তাব ধাপে বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পর বাংলাদেশকে ৪৭০ কোটি মার্কিন ডলারের ঋণ অনুমোদন দেওয়া হয়। যার প্রথম কিস্তির অর্থ ছাড় করে গত ফেব্রুয়ারিতে। সবকিছু স্বাভাবিক থাকলে ঋণের দ্বিতীয় কিস্তির অর্থ আগামী নভেম্বর মাসে হাতে পাবে সরকার।


এইচকেআর
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন