ঢাকা শনিবার, ০২ অগাস্ট ২০২৫

Motobad news

ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় হামুন: ৭ নম্বর বিপদ সংকেত

ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় হামুন: ৭ নম্বর বিপদ সংকেত
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপ ‘হামুন’ আরও শক্তি সঞ্চয় করে ক্রমশ বাংলাদেশের উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে। এতে বরিশালের অভ্যন্তরীণ রুটে সব ধরনের লঞ্চ চলাচল বন্ধ করা হয়েছে। চালানো হচ্ছে সতর্কতামূলক প্রচার-প্রচারণা।

এছাড়া পায়রা সমুদ্র বন্দরে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত ও নদী বন্দরে ২ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।

 

নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারী পরিচালক রিয়া হোসেন জানান, বরিশাল থেকে অভ্যন্তরীণ মোট ১১টি রুটে ৩৬টি লঞ্চ চলাচল করে। প্রাথমিকভাবে অভ্যন্তরীণ রুটের লঞ্চ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

এছাড়া ঢাকা থেকে বরিশাল রুটের দূরপাল্লার লঞ্চ চলাচল ও বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। মোট ২০টি লঞ্চ ঢাকা-বরিশাল রুটে চলাচল করে।

লঞ্চ মালিক এবং কর্মচারীদের এরই মধ্যে সতর্ক করা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়কে কেন্দ্র করে সতর্কতামূলক প্রচার-প্রচারণা চালানো হচ্ছে বলে জানান তারা

উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপ ‘হামুন’ উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। দ্রুত এগিয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড়টি।

ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সৃষ্ট মেঘমালার অগ্রভাগ এরই মধ্যে বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় প্রবেশ করেছে। যার প্রভাবে  দেশের বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। এর আগে, আবহাওয়া অধিদফতর থেকে জানানো হয়, ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’ বুধবার (২৫ অক্টোবর) দুপুর নাগাদ দেশের সীমানা অতিক্রম করতে পারে।

ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৬৪ কি.মি.-এর মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৯০কি.মি., যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১১০ কি.মি. পর্যন্ত বাড়ছে। প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই বিক্ষুব্ধ রয়েছে৷

ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রবর্তী অংশের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ ভারি থেকে অতিভারি বর্ষণ অব্যাহত থাকতে পারে।

উপকূলীয় জেলা পুটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, চট্টগ্রাম, ফেনী নোয়াখলী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, ভোলা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহকে ৭ নম্বর বিপদ সংকত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৩ থেকে ৫ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ু তাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে। 

অতি ভারী বর্ষণের প্রভাবে কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও চট্টগ্রামের পাহাড়ি অঞ্চলের কোথাও কোথাও ভূমি ধস হতে পারে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
 


এমএন
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন