১০ কেজি মরিচে এক কেজি চাল!


পাঁচ টাকা কেজিতে চাষিদের কাছ থেকে কাঁচা মরিচ কিনছেন নীলফামারী বড় বাজারের আড়তদার ও পাইকারি ব্যবসায়ী মো. নুরু ইসলাম। এসব মরিচ তিনি পাইকারিতে ১০-১২ টাকা বিক্রি করছেন। তার কাছ থেকে কিনে ২৫-৩০ টাকা কেজি বিক্রি করছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা। তাদের লাভ হলেও চরম লোকসানে পড়েছেন মরিচ চাষিরা। ক্ষোভে তারা বললেন, আগামী বছর থেকে মরিচ চাষ করবেন না।
বুধবার (১৬ জুন) ও বৃহস্পতিবার (১৭ জুন) জেলা শহরের বড় বাজার, কিচেন মার্কেট, ডোমারের মটকপুর বাজার, পাঙ্গা চৌপতির বাজার ও ডিমলা বাজারে পাঁচ টাকা কেজিতে মরিচ বিক্রি করেছেন চাষিরা।
বড় বাজার ও কিচেন মার্কেটের খুচরা ব্যবসায়ী বুলু মিয়া ও ইলিয়াস আলী জানান, মরিচের মৌসুম প্রায় শেষ। বর্ষায় মরিচের ফলন কম হওয়ায় খুচরা বাজারে কেজিতে দাম বেড়েছে ৮-১০ টাকা। আমরা ২৫ টাকা কেজিতে বিক্রি করছি। পাইকারিতে মণ কিনেছি ৪৫০ টাকা।
চাষিদের অভিযোগ, মৌসুমের শুরুতে আবাদের খরচ না ওঠায় অনেক চাষি ক্ষেত থেকে মরিচ তোলেননি। ক্ষেতেই মরিচ নষ্ট হয়েছে। লোকসানের ভয়ে অনেকেই মরিচ তুলছেন না।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্র জানায়, চলতি মৌসুমে এক হাজার ৭৭৫ হেক্টর জমিতে মরিচ চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরেছে কৃষি বিভাগ। তবে লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও অর্জিত জমির পরিমাণ এক হাজার ৮০০ হেক্টর। ২৫ হেক্টর জমিতে অতিরিক্ত মরিচ চাষ হয়েছে। সদরে ২৯০, সৈয়দপুরে ২৫, ডোমারে ৭৮০, ডিমলায় ৫৪০, জলঢাকায় ৮০ ও কিশোরগঞ্জে ৮৫ হেক্টর জমিতে মরিচ চাষ হয়েছে।
কিচেন মার্কেটের মরিচের আড়ত ও খুচরা বাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরা বাজারে ২৫-৩০ টাকা কেজিতে কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে। পাইকারি বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১০-১২ টাকা।
এমবি
