বিএনপি-জামায়াতের অবরোধ শুরু, কঠোর অবস্থানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী


র্দলীয়, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবিতে সারা দেশে বিএনপি-জামায়াতের তিন দিনের সড়ক, রেল ও নৌপথ অবরোধ শুরু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) সকাল থেকে ৬টা থেকে এই অবরোধ শুরু হয়।
সরকার পতন ছাড়াও বিরোধীদলীয় নেতাকর্মী হত্যা, নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশে হামলা এবং দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ অনেক নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে এ অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে বলে জানায় বিএনপি।
বিএনপি-জামায়াত ছাড়াও ১২ দলীয় জোট, জাতীয়তাবাদী সমন্বয় জোট, এলডিপি, গণফোরাম ও পিপলস পার্টি, গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য, গণঅধিকার পরিষদ লেবার পার্টি ও এনডিএম পৃথকভাবে এ কর্মসূচি পালন করবে।
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ কর্মসূচি সফল করতে দেশবাসী ও দলের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। সোমবার (৩০ অক্টোবর) এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘সড়ক, রেল ও নৌপথে তিন দিন আমাদের সর্বাত্মক অবরোধ পালন করা হবে।’
অবরোধের প্রকৃত ব্যাখ্যা দিয়ে বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, ‘জেলার সঙ্গে রাজধানীর যোগাযোগ, উপজেলার সঙ্গে জেলার যোগাযোগ এবং ইউনিয়নগুলোর সঙ্গে উপজেলার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করতে সড়ক, রেল ও নৌপথ অবরোধ করা হবে। তবে সংবাদপত্র বা গণমাধ্যমের যানবাহন, অ্যাম্বুলেন্স, অক্সিজেন সিলিন্ডার ও ওষুধ বহনকারী যানবাহন তিন দিনের অবরোধের আওতা বহির্ভূত থাকবে।’
এদিকে, বিএনপি-জামায়াতের ডাকা তিন দিনের অবরোধে নাশকতা কঠোর অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। চোরাগোপ্তা হামলা ঠেকাতে ঢাকা ছাড়াও সারাদেশে সতর্ক অবস্থানে আছে পুলিশ-র্যাব-বিজিবি। আওয়ামী লীগ এবং এর সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতীম সংগঠনের নেতাকর্মীরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সহায়তা করছেন। এই তিনদিন তারা উন্নয়ন স্থাপনাসহ সরকারের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোর দিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখবেন।
গতকাল সোমবার (৩০ অক্টোবর) সন্ধ্যায় র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন গণমাধ্যমকে বলেন, অবরোধে জনজীবন স্বাভাবিক রাখতে জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত ও রাষ্ট্রীয় সম্পদ সুরক্ষা করতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে র্যাব। দেশব্যাপী নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে র্যাব ফোর্সেসের ১৫ ব্যাটালিয়নের তিন শতাধিক টহল দল নিয়োজিত থাকবে। পাশাপাশি দেশব্যাপী গোয়েন্দা নজরদারি কার্যক্রম চলবে। কেউ যদি কোনো ধরনের নাশকতা কিংবা সহিংসতার পরিকল্পনা করে তাকে সঙ্গে সঙ্গে শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে।
খন্দকার আল মঈন আরও বলেন, যেকোনো উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় র্যাবের স্পেশাল টিম ও স্ট্রাইকিং ফোর্স রিজার্ভ রাখা হয়েছে। নাশকতা ও সহিংসতা প্রতিরোধে সার্বক্ষণিক দেশব্যাপী নিয়োজিত থাকবে র্যাব।
এমএন
