বাংলাদেশ আমাদের বড় উন্নয়ন সহযোগী:নরেন্দ্র মোদি


ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ আমাদের বড় উন্নয়ন সহযোগী। আমার বিশ্বাস; যৌথ প্রয়াসে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ে উঠবে৷
স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তেও ভারত পাশেই থাকবে-এ কথা জানিয়ে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, বাংলাদেশ আমাদের বড় উন্নয়ন সহযোগী; আমার বিশ্বাস যৌথ প্রয়াসে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ে উঠবে৷
বুধবার (০১ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যৌথভাবে তিনটি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করে এসব কথা বলেন তিনি।এর আগে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যৌথভাবে তিনটি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
এরপর নরেন্দ্র মোদি বলেন, গুরুত্বপূর্ণ ৩টি প্রকল্প উদ্বোধনের মাধ্যমে দেশটির জনগণের হাতে তুলে দিতে পেরে ভারত আনন্দিত৷স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তেও ভারত পাশেই থাকবে; শুধু তাই নয় ১২জেলায় আইটি পার্ক নির্মাণেও সহযোগিতা করছে ভারত বলেও জানান তিনি৷
উদ্বোধন হওয়া প্রকল্প তিনটি হলো-আখাউড়া-আগরতলা আন্তঃসীমান্ত রেল সংযোগ, খুলনা-মোংলা বন্দর রেললাইন এবং মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্টের দ্বিতীয় ইউনিট।
এর আগে মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) ভারত সরকার জানিয়েছে, এই প্রকল্পগুলো ভারতের সহায়তার মাধ্যমে বাস্তবায়িত হয়েছে, যা এই অঞ্চলে সংযোগ এবং জ্বালানি নিরাপত্তা জোরদার করবে।
আখাউড়া-আগরতলা আন্তঃসীমান্ত রেল সংযোগ প্রকল্পটি ভারত সরকারের ৩৯২ কোটি ৫২ লাখ টাকার অনুদান সহায়তার আওতায় বাস্তবায়িত হয়েছে। রেল সংযোগের দৈর্ঘ্য ১২ দশমিক ২৪ কিলোমিটার এবং বাংলাদেশে ৬ দশমিক ৭৮ কিলোমিটার ডুয়েল গেজ রেললাইন এবং ত্রিপুরায় ৫ দশমিক ৪৬ কিলোমিটার।
খুলনা-মোংলা বন্দর রেল লাইন প্রকল্পটি ভারত সরকারের ছাড়ের লাইন অব ক্রেডিটের আওতায় ৩৮৮ দশমিক ৯২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয়ে বাস্তবায়িত হয়েছে। এই প্রকল্পের আওতায় মোংলা বন্দর ও খুলনার বিদ্যমান রেল নেটওয়ার্কের মধ্যে প্রায় ৬৫ কিলোমিটার ব্রডগেজ রেলপথ নির্মাণ করা হবে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বন্দর মোংলা ব্রডগেজ রেল নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে।
মৈত্রী সুপার থার্মাল বিদ্যুত প্রকল্পে ১ দশমকি ৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ভারতীয় ঋণ সহায়তার আওতায় বাংলাদেশের খুলনা বিভাগের রামপালে অবস্থিত একটি ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট (২x৬৬০) সুপার থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্ট (এমএসটিপিপি) প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়।
প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ-ভারত ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি (প্রাইভেট) লিমিটেড (বিআইএফপিসিএল), যা ভারতের এনটিপিসি লিমিটেড এবং বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) মধ্যে ৫০ শতাংশের সমান (৫০:৫০)হারে জয়েন্ট ভেঞ্চার কোম্পানি।মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্টের প্রথম ইউনিটটি ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে উভয় প্রধানমন্ত্রী যৌথভাবে উদ্বোধন করেন এবং ইউনিট-২ চলতি বছরের ১ নভেম্বর উদ্বোধন করা হলো।
মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্ট চালু হলে বাংলাদেশের জ্বালানি নিরাপত্তা বৃদ্ধি পাবে বলে জানিয়েছে ভারত সরকার।
এমএন
