কমেনি আলুর দাম, পেঁয়াজের কেজি ১৪০ টাকা


আমদানির খবরে বাজারে আলুর দামে কোনো প্রভাব পড়েনি। মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) হিমাগার থেকে প্রতি কেজি আলু ২৬ থেকে ২৭ টাকায় বিক্রি করতে সারাদেশে জেলা প্রশাসকদের নির্দেশ দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। তাতেও দাম কমার কোনো লক্ষণ নেই। আলু আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ৬০ টাকা দরে।
যেখানে অনেকটা উল্টো ঘটেছে পেঁয়াজের ক্ষেত্রে। ভারত ন্যূনতম রপ্তানি মূল্য বেঁধে দেওয়ার খবরেই বাজারে হু হু করে বাড়ছে পণ্যটির দাম। কিন্তু বাড়তি দামে আমদানি করা পেঁয়াজ এখনো দেশের বাজারে এসে পৌঁছায়নি। তবুও এখন কেজিপ্রতি পেঁয়াজের দাম উঠেছে ১৪০ টাকা পর্যন্ত। যা মঙ্গলবার ১৩০ টাকা এবং গত শনিবার ১০০ টাকার মধ্যে ছিল।
গত শনিবার ভারত সরকার পেঁয়াজের রপ্তানি মূল্য ৮০০ ডলার বেঁধে দেয়। এরপর তিন দিনের ব্যবধানে খুচরা বাজারে দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি ৪০ টাকা পর্যন্ত। এতে আগে থেকে বেড়ে থাকা নিত্যপণ্যটি নিয়ে আরও অস্থিরতা শুরু হয়েছে।
ভারত এমন সময় পেঁয়াজের রপ্তানি মূল্য বৃদ্ধির ঘোষণা দিয়েছে, যখন বাংলাদেশের বাজারে পেঁয়াজ বেশ চড়া দামে বিক্রি হচ্ছিল। পার্শ্ববর্তী দেশের এই সিদ্ধান্তটি যেন পেঁয়াজের বাজারে ‘আগুনে ঘি ঢেলে দেওয়ার’ মতো অবস্থা বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
অন্যদিকে, শুক্র ও শনিবার ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৮৫ থেকে ৯০ টাকা, যা পরদিন ১০৫ থেকে ১১০ টাকা এবং সোমবার ১২০ থেকে ১২৫ টাকা বিক্রি হতে দেখা গেছে। অর্থাৎ ভারতীয় পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ৩৫ থেকে ৪৫ টাকা পর্যন্ত।
আলুর বাজার নিয়ন্ত্রণে আমদানি উন্মুক্ত করেছে সরকার। এ সিদ্ধান্ত সোমবারের। চলতি বছরের আলুর বাজার শুরু থেকেই চড়া। এরমধ্যে বেশিভাগ সময় আলুর দাম প্রতি কেজি ৫০ টাকায় ছিল, যেখানে সাধারণ মানুষ ২০ থেকে ২৫ টাকায় আলু খেতে অভ্যস্ত। তবে শেষ পর্যন্ত কয়েক দফা দাম বেড়ে খুচরা দোকানে আলু ৬০ টাকা পর্যন্ত উঠেছে।
এছাড়া এরই মধ্যে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর আলু আমদানির অনুমতি দেওয়া শুরু করেছে। এখন পর্যন্ত ২৮টি আবেদনের বিপরীতে ১৯ হাজার ৪০০ টন আলু আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে এর কোনো প্রভাব নেই আলুর বাজারে, বিক্রি হচ্ছে আগের দামে।
সঙ্গে আজ ১ নভেম্বর, বুধবার থেকে দেশের কোল্ড স্টোরেজ পর্যায়ে সরকার নির্ধারিত মূল্যে অর্থাৎ প্রতি কেজি আলু ২৬-২৭ টাকায় বিক্রি করতে সারাদেশের জেলা প্রশাসকদের নির্দেশ দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। তারপরেও আলুর দাম কমছে না।
ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, অবরোধে পণ্যবাহী ট্রাক আসতে খুব একটা সমস্যা হচ্ছে না। চাহিদার তুলনায় সরবরাহ ঠিক থাকায় নতুন করে দাম বাড়েনি।
এমএন
