বিমানের যাত্রাপথে বাংলাদেশের সিনেমা দেখিঃপ্রধানমন্ত্রী
জমকালো আয়োজনে প্রদান করা হয়েছে ২০২২ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় হলে গিয়ে সিনেমা দেখতে না পারার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের ৪৭তম আসরে সেরাদের হাতে পুরস্কার তুলে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বক্তব্যে বলেন, হলে গিয়ে সিনেমা দেখতে না পারলেও বিমানের যাত্রাপথে বাংলাদেশের সিনেমা ঠিকই দেখেন তিনি। এবার সাউথ আফ্রিকা সফরের সময় দুটি সিনেমা একসঙ্গে উপভোগ করেছেন।
তিনি আরও বলেন, ‘সবসময় দেখার সুযোগ হয় না, ১৭ কোটি মানুষের দায়িত্ব আমার। ফাইল দেখতে আর রিপোর্ট পড়তেই সময় শেষ হয়ে যায়।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এখন এত পড়াশোনা করতে হয়, ছোটবেলায় যদি এভাবে পড়তাম তাহলে সব ক্লাসে ফার্স্ট হতাম।’
চলচ্চিত্রে বিশেষ অবদানের জন্য এবার আজীবন সম্মাননা দেয়া হয় যৌথভাবে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও অভিনেতা খসরু আর অভিনেত্রী রোজিনাকে। চিকিৎসার জন্য বিদেশে থাকায় খসরুর সম্মাননা গ্রহণ করেন চিরসবুজ নায়ক আলমগীর।
এবারের আসরের সেরা চলচ্চিত্র নির্বাচিত হয়েছে স্বাধীন সিনেমা ‘কুড়া পক্ষীর শূন্যে উড়া’ আর তুমুল আলোচিত সিনেমা ‘পরাণ’। শ্রেষ্ঠ পরিচালকসহ মোট ৪টি ক্যাটাগরিতে পুরস্কার ঘরে তুলেছে ‘শিমু’। যুগ্মভাবে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর পুরস্কার পেয়েছেন রিকিতা নন্দিনী শিমু ও জয়া আহসান। অন্যদিকে ‘হাওয়া’ সিনেমায় অভিনয় করে শ্রেষ্ঠ অভিনেতার পুরস্কার জিতেছেন চঞ্চল চৌধুরী।
‘কুড়া পক্ষীর শূন্যে উড়া, পরাণ, অপারেশন সুন্দরবন, পায়ের ছাপ, রোহিঙ্গা’ সিনেমাগুলো অর্জন করেছে তিনটি করে পুরস্কার। এ ছাড়া ২৭টি ক্যাটাগরিতে দেয়া হয়েছে মোট ৩৩টি পুরস্কার।
পুরস্কার প্রদান আয়োজনের দ্বিতীয় পর্বে ছিল ফেরদৌস-পূর্ণিমার উপস্থাপনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। দর্শকসারিতে বসে অনুষ্ঠান উপভোগ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা। জায়েদ খান, অপু বিশ্বাস, তমা মির্জা, সাইমন, দীঘি, পূজা চেরি, নুসরাত ফারিয়ার নাচে ডুবে ছিল দর্শক।
এমএন