পি কে হালদার নিয়ে বাংলাদেশের ভাবনা জানতে চান বিচারক


ভারতে বন্দি প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদারসহ ছয় অভিযুক্তকে আগামী ১২ ডিসেম্বর আবার আদালতে তোলা হবে। শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) কলকাতার নগর দায়রা আদালতের সিবিআই স্পেশাল কক্ষ-৩ এর বিচারক শুভেন্দু সাহার এজলাসে তোলা হলে বিচারক পরবর্তী দিন ধার্য করেন।
তবে এই মামলায় আগামী দিনে নতুন মোড় নিতে চলেছে। শুক্রবার হঠাৎ অভিযুক্তদের আইনজীবী আলি হায়দারের কাছে বিচারক জানতে চান, ‘এদের (পি কে হালদার ও তার সহযোগীদের) নিয়ে কী ভাবছে বাংলাদেশ। শুনেছি সেখানে নাকি সাজা ঘোষণা হয়েছে, আপনি কিছু জানেন?’
আইনজীবী হায়দার বলেন, ‘আমিও শুনেছি। তবে সঠিক কতদিনের সাজা ঘোষণা হয়েছে ঠিক বলতে পারব না। শুনেছি পি কে হালদার বাদে বাকিদের চার বছরের মতো সাজা ঘোষণা করেছে। প্রশান্ত কুমারের (পিকে) আরও একটু বেশি হবে। সঠিক এখনি বলতে পারব না। ’
এ দিন ভারতের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন না। এরপরই বিচারক নির্দেশে দেন, পরবর্তী তারিখে ‘চার্জ ফ্রেম’ করা হবে। মূলত অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ইডি ও পুলিশের পক্ষ থেকে এতদিনে যে নথি জমা পড়েছে আদালতে, তা দেখে ভারতীয় দণ্ডবিধি অনুযায়ী, অভিযুক্তদের দোষী সাব্যস্ত করবেন বিচারক। একেই বলা হয় ‘চার্জ ফ্রেম’।
অভিযুক্তরা দোষ স্বীকার না করলে তখন ট্রায়ালের মাধ্যমে মামলাটি চলতে থাকবে। দোষ স্বীকার করে নিলে আগামী ১২ ডিসেম্বর সাজা ঘোষণা করে দিতে পারেন বিচারক। তবে ধারণা করা হচ্ছে, মামলাটি ট্রায়ালের দিকেই যাবে।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ১৪ মে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনার বৈদিক ভিলেজ থেকে পি কে হালদার ও তার পাঁচ সহযোগীকে গ্রেপ্তার করে ভারতের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। এরপর থেকে সেখানেই দেশটির কারাগারে বন্দি রয়েছেন তারা। ‘প্রিভেনশন অব মানি লন্ডারিং অ্যাক্ট-২০০২’ অর্থাৎ অবৈধভাবে অর্থপাচার এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের আওতায় এই ছয় জনকে গ্রেপ্তার করেছিল ইডি। এরপর হালদার ও তার সহযোগীরা বাংলাদেশি, আদালতে প্রমাণিত হয়েছে। ফলে আদালত তাদের বিরুদ্ধে ‘ফরটিন ফরেনার্স অ্যাক্ট’ দেয় কি না, তাই আলোচ্য বিষয়।
তথ্য মতে, গত ৮ অক্টোবর ঢাকার বিশেষ জজ আদালতে পি কে হালদারকে দুই মামলায় ২২ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন এবং পি কে হালদার ছাড়া অন্য ১৩ আসামিকে দুই মামলায় তিন ও চার বছর করে মোট সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে পি কে হালদার ও তার চারজন পুরুষ সহযোগীকে রাখা হয়েছে কলকাতার প্রেসিডেন্সি জেলে এবং নারী সহযোগী আমিনা সুলতানা আছেন কলকাতার আলিপুর সংশোধনাগারে।
এইচকেআর
