মনপুরা রাসেল ভাইপার উদ্ধার, বনে অবমুক্ত


ভোলার দ্বীপ উপজেলা মনপুরায় নদীরপাড়ে ভয়ংকর বিষধর রাসেল ভাইপার (চন্দ্রবোড়া) সাপের দেখা মিলেছে। তবে স্থানীয়রা প্রথমে অজগর সাপ মনে করলেও বন বিভাগের কর্মকর্তারা পৃথিবীর সবচেয়ে ভয়ংকর সাপ রাসেল ভাইপার বলে শনাক্ত করেন।
মঙ্গলবার ১নম্বর মনপুরা ইউনিয়নের কাউয়ারটেক কামাল হুজুরের এর বাড়ির এলাকার মেঘনা নদী পাড়ে জেলেদের পরিতক্ত কারেন্ট জালের আটকে পড়া রাসেল ভাইপার সাপটি দেখতে পান স্থানীয়রা। পরে স্থানীয় এক যুবক বন বিভাগকে টিমকে খবর দেয়।
খবর পেয়ে দ্রত রামনেওয়াজ বিটে সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে রাসেল ভাইপার সাপটিকে উদ্ধার করে নিয়ে আসেন। পরে বন বিভাগগের সদস্যরা সাপটিকে রামনেওয়াজ বিটের সোনারচর গহীন অরণ্যে অবমুক্ত করেন।
এ ঘটনায় উপজেলায় নদীপাড় এলাকায় গ্রামগুলোতে বিষধর রাসেল ভাইপার সাপের আতঙ্ক বিরাজ করছে।
বন বিভাগের রামনেওয়াজ বিট কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম মিলন জানান, মনপুরা উপজেলার ১নম্বর মনপুরা কাইয়ারটেব মেঘনা নদীর পাশে পরিতক্ত জালে রাসেল ভাইপার (চন্দ্রবোড়া) সাপের দেখা মেলে।
স্থানীয়দের কাছে খবর পেয়ে রামনেওয়াজ বিটের সদস্যরা ৩ ফুট ২ ইঞ্চি দৈর্ঘ্যের ওজন প্রায় ৬০০ গ্রাম একটি রাসেল ভাইপার সাপ উদ্ধার করেন। ধারণা করা হয়, ওই এলাকাটি মেঘনা নদী তীরবর্তী হওয়ায় সাপটি জোয়ারের পানিতে ভেসে এসেছে। পরে দুপুর ১ টার দিকে সাপটি অবমুক্ত করা হয়।
মনপুরা রেঞ্জ কর্মকর্তা রাশেদুল ইসলাম জানান. বাংলাদেশে যে সব সাপ দেখা যায় তারমধ্যে রাসেল ভাইপার (চন্দ্রবোড়া) সবচেয়ে বিষধর। আক্রমণের ক্ষিপ্র গতি ও বিষের তীব্রতার কারণে এই সাপকে কিলিং মিশন বলেও ডাকা হয়। মারাত্মক বিষধর প্রজাতির এ রাসেল ভাইপার (চন্দ্রবোড়া) সাপ নিচু জমির ঘাসযুক্ত উন্মুক্ত পরিবেশে এবং কিছুটা শুষ্ক পরিবেশে বাস করে।
এরা নিশাচর, এরা খাদ্য হিসেবে ইঁদুর, ছোট পাখি, টিকটিকি ও ব্যাঙ ভক্ষণ করে। অন্যান্য সাপ সাধারণত ডিম পাড়ে এবং ডিম ফুটে বাচ্চা হয়। তবে রাসেল ভাইপার সাপ ডিম পাড়ার পরিবর্তে সরাসরি বাচ্চা দেয়। এরা বছরের যে কোনো সময় প্রজনন করে। তাই সবাইকে সচেতন থাকার আহব্বান করছি ।
এইচকেআর
